বুকিং শুরুর পর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি। তার মধ্যে ৮২,০০০-এর বেশি যাত্রী আসন সংরক্ষণ করেছেন। এমনটাই জানাল ভারতীয় রেল।টিকিটের চাহিদা যে তুঙ্গে রয়েছে, তা সোমবার বিকেল থেকেই বোঝা গিয়েছিল। সেই চাপে ক্র্যাশ করে যায় টিকিট বুকিংয়ের ওয়েবসাইট। তারপর বুকিং শুরু হওয়ার মাত্র ৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের মধ্যে প্রায় ৩০,০০০ পিএনআর জেনারেট করা হয়েছে। পরে মঙ্গলবার সকালে রেলের তরফে জানানো হয়েছেে, ৪৫,৩৩৩ পিএনআর জেনারেট হয়েছে। টিকিট বুকিংয়ের ফলে এখনও পর্যন্ত ১৬১,৫৬৩,৮২১ টাকা আয় হয়েছে।সোমবার নির্ধারিত সময়ের দু'ঘণ্টা পর বুকিং হওয়ার প্রথম ১০ মিনিটেই হাওড়া-নয়াদিল্লি ট্রেনের এসি-১ এবং এসি-৩ সব আসন সংরক্ষিত হয়ে যায়। পরের ১০ মিনিটে প্রথম ট্রেনের সব সংরক্ষিত আসন নিঃশেষ হয়ে যায়। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত আইআরসিটিসি-র ওয়েবসাইট অনুযায়ী, আগামী ১৮ মে পর্যন্ত হাওড়া-নয়াদিল্লির ট্রেনে একটিও আসন ফাঁকা পড়ে নেই।একই অবস্থা ভুবনেশ্বর-নয়াদিল্লি বিশেষ ট্রেনের। বুকিং শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যে এসি-১ এবং এসি-৩ কোচের সব আসন সংরক্ষিত হয়ে যায়। এক ঘণ্টার মধ্যে পুরো ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে ইস্ট-কোস্ট রেলওয়ে। রেলের তরফে বলা হয়েছে, ‘প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এক ঘণ্টারও কম সময়ে ১৩ মে'র সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছেন। তবে এসি ৩-এ তিনটি টিকিট ক্যানসেল করা হয়েছে। ১৪ মে'র ট্রেনে এসি ৩-তে ৪৭ টি এবং এসি ২-তে ন'টি আসন ফাঁকা রয়েছে। ১৭ মে পর্যন্ত ফার্স্ট ক্লাস এসির সব আসন ভরতি হয়ে গিয়েছে।’ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বুধবার, শুক্রবার, শনিবারের ট্রেনের টিকিট নিঃশেষ হয়ে গিয়েছে। রবিবারে ৩০০-র বেশি টিকিট আছে। বৃহস্পতিবারের মাত্র তিনটি টিকিট পড়ে রয়েছে।