ফের কংগ্রেসবিহীন তৃতীয় ফ্রন্টের হাওয়া উঠেছে দেশে। এবার বিজেপি বিরোধী জোটের পালে হাওয়া লাগিয়ে মুম্বই পৌঁছলেন তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী তথা টিআরএ প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও। উল্লেখ্য, গতবছরই মুম্বই গিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট গড়ার লক্ষ্যে শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গ💫েও মমতার দেখা করার কথা থাকলেও তা হয়নি। সেই সময় অসুস্থত ছিলেন উদ্ধব আর সেই কারণেই মমতার সঙ্গে দেখা করেছিলেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত ও উদ্ধব পুত্র আদিত্য ঠাকরে। আর এবার মমতার পথ অনুসরণ করেই মু꧃ম্বই পৌঁছলেন কেসিআর। আর সেখানে পৌঁছেই বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন তিনি। তাঁর পাশে ছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা নেতা উদ্ধব ঠাকরে। এদিন এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের সঙ্গেও দেখা করেন কেসিআর।
সাম্প্রতিককালে তেলাঙ্গানায় কেসিআরকে চ্যাল🌱েঞ্জ জানাচ্ছে বিজেপি। আর এই আবহে টিআরএস প্রধান বিজেপি বিরোধিতায় সুর চড়িয়েছেন। একাধিক ইস্যুতে♎ মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে তোপ দেগেছেন তিনি। কতকটা বাংলার ধাঁচেই সেরাজ্যের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতি এগিয়ে চলেছে। এহেন পরিস্থিতিতে দেশে বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে উদ্যোগ নিলেন তেলাঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী।
রবিবাসরীয় মুম্বইতে উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে দেখা করে বেরিয়ে কেসিআর বলেন, ‘স্বাধীনতার ৭৫ বছর পর দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেছি। আগামীতে অন্যান্য আঞ্চলিক ও জাতীয় দলগুলোর সঙ্গেও কথা বলব আমরা। এরপর আমরা (উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে) আবার দেখা করব। মহার🌊াষ্ট্র থেকে শুরু হওয়া পথ সবসময় সাফল্যের দিকে নিয়ে যায়। এটা একটা ভালো শুরু এবং🎐 এটা গণতন্ত্র রক্ষার লড়াই।’
এরপর কেসিআর আরও বলেন, ‘আমরা দেশের তরুণদের ভবিষ্যতের সাথে খেলা করতে পারি না। আমরা দেশের সামাজিক অবনতি দেখতে পারছি না। ꦫআমাদের সাথে বাকি সমমনা সব মানুষকে নিয়ে এগোতে চাইছি। আলোচনা চলছে।’
এদিকে ম♔মতা মুম্বই সফরে গিয়েছিলেন নিজের তাগিদে। এদিকে কেসিআরকে মুম্বই আসতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন উদ্ধব। এদিন দীর্ঘ দুই ঘণ্টার বৈঠকের পর উদ্ধব বলেন, ‘আমরা অত্যাচার, অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে লড়াই করতে চাই। আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে চাই।’ পাশাপাশি বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে উদ্ধব বলেন, ‘বিজেপি যেই প্রতিহিংসার রাজনীতি করে তা ভারতীয় সংস্কৃতিও নয়, হিন্দুত্বও নয়। আমাদের হিন্দুত্ব প্রতিশোধের কথা বলে না।’ এরপর উদ্ধব বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের জন্য এক রাজ্যের সাথে অন্য রাজ্যের সম্পর্ক ভালো হওয়া উচিত। দেশের উন্নয়ন সর্বোপরি। প্রতিহিংসার রাজনীতি ভালো নয়। তাদের (বিজেপি) শাসনামলে উন্নয়ন ইস্যুতে কথা না বলে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিয়ে মিথ্যা ও ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে।’