আদানির বিরুদ্ধে বহু আগে থেকেই সরব মহুয়া মৈত্র। এর আগে কতকটা সেই কারণেই বিতর্কে জড়িয়ে তাঁকে হারাতেও হয়েছিল সাংসদ পদ। সেই আদানিকে টেনে এবার সেবি প্রধানকে নিয়ে বিস্ফোরক দাবি মহুয়া মৈত্রের। উল্লেখ্য, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের সাম্প্রতিক এক রিপোর্টের জেরে বিতর্কে জড়িয়েছে সেবি চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচের নাম। এই আবহে তাঁকে পাবলিক অ্যাকাউন্𓆉টস কমিটির বৈঠকে তলব করা হয়েছিল। তবে ব্যক্তিগত কাজের কথা বলে সেই বৈঠকে হাজিরা দেননি মাধবী। এই আবহে মহুয়ার অভিযোগ, সরকারকে বুচ ব্ল্যাকমেল করছেন।
এই নিয়ে এক পোস্টে মহুয়া মৈত্র লেখেন, 'এটা পুরো স্পষ্ট যে বুচ পুরী সরকারের মাথার দিকে বন্দুক তাক করে আছেন এবং বলছেন, আমার পতন ঘটলে আদানিরও পতন হবে এবং যদি আদানির পতন হয়, তাহলে এই সরকারের পতন হবে। এছাড়া আর কোনও কারণ আমি দেখছি না, যার জেরে তিনি এতদিন ধরে পালিয়ে পার পাচ্ছেন।' প্রসঙ্গত, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছিল, আদানিদের সঙ্গে যুক্ত বিদেশি ফান্ডে বিনিয়োগ করেছিলেন সেবি প্রধান এবং তাঁর স্বামী। এরপরই শুরু হয় তোলপাড়। এই অভিযোগ সামনে আসতেই প্রাথমিক ভাবে তা খারিজ করে দিয়েছিলেন মাধবী পুরী বুচ এবং তাঁর স্বামী ধবল বুচ। পরে বিস্তারিত বিবৃতি প্র🍌কাশ করে তাঁরা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেন। বুচ দম্পতির বিস্তারিত বিবৃতিতে বলা হꦛয়, 'হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে উল্লেখিত সেই ফান্ডে আমরা বিনিয়োগ করেছিলাম ২০১৫ সালে। সেই সময় আমরা দু'জনেই সাধারণ নাগরিক ছিলাম এবং আমরা সিঙ্গাপুরে থাকতাম। মাধবী সেবির সদস্য হওয়ার ২ বছর আগের কথা সেটা।'
উল্লেখ্য, হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়, সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচ এবং তাঁর স্বামীর অংশিদারিত্ব রয়ছে বারমুডা ও মরিশাসের অখ্যাত অফশোর ফান্ডে🎐। আদানিদের সঙ্গে সেই ফান্ডের যোগ আছে। ২০১৭ সালে মাধবী সেবির পূর্ণ সদস্য হওয়ার আগে নাকি তাঁর স্বামী এই বিনিয়োগ পুরোপুরি নিজের নামে করার আবেদন জানিয়েছিলেন। যাতে মাধবীর বিরুদ্ধে কোনও তদন্ত না হয়। হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে অভিযোগ করা হয়েছে, একটি মাল্টিলেয়ার অফশোর স্ট্রাকচারের মাধ্যমে এই বিনিয়োগ করা হয়েছে। এই আবহে বিনিয়োগের বৈধতা এবং উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে তারা। হিন্ডেনবার্গ দাবি করে, সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচ এবং তাঁর স্বামীর অংশিদারিত্ব রয়ছে বারমুডা ও মরিশাসের অখ্যাত অফশোর ফান্ডে। এই বিনিয়োগ নাকি অঘোষিত। ২০১৫ সালে এই বিনিয়োগ করা হয়েছিল। এদিকে ২০১৭ সালে মাধবী সেবির পূর্ণ সদস্য হিসেবে নিযুক্ত হয়েছিলেন। ২০২০ সালের মার্চ মাসে সেবির চেয়ারপার্সন হিসাবে তাঁর পদোন্নতি হয়।