২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্মদিন উপলক্ষে ইন্ডিয়া গেটের সামনে নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি প্রকাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে উদ্বোধনের ১০ দিনের মাথাতেই ‘উধাও’ নেতাজির সেই হলোগ্রাম। আর এই নিয়ে এবার আন্দোলনে নামলেন তৃণমূল সাংসদরা। বৃহস্পতিবার রাতে ইন্ডিয়া গেটের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, সুখেন্দু শেখর রায়, শান্তা ছেত্রী, জহর সরকারদের। সেই প্রতিবাদের ছবি আবার টুইট করেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন।ডেরেক টুইট বার্তায় লেখেন, ‘সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা সেই জায়গার সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ দেখাচ্ছেন যেখানে বিজেপি সরকার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। নেতাজিকে অন্ধকারে রাখবেন না। এই জায়গা আলোকিত করুন। কেন নেতাজিকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে?’ এই টুইটের সঙ্গেই তৃণমূল সাংসদদের প্রতিবাদের ছবি পোস্ট করেন ডেরেক।উল্লেখ্য, নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁকে নিয়ে রেষারেষি জারি রাজ্যের তৃণমূল সরকার ও কেন্দ্রের বিজেপির সরকারের মধ্যে। এই আবহে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বাংলার তরফে নেতাজির ট্যাবলো প্রস্তাবিত করা হলেও তা খারিজ হয়ে যায়। বদলে কেন্দ্র নিজেদের একটি নেতাজি ট্যাবলো চালায় দিল্লির রাজপথে। আর এর প্রেক্ষিতে তৃণমূল সরকার কলকাতার রেড রোডে চালিয়েছইল নেতাজির ট্যাবলো। আর এই ট্যাবলো বিতর্কে জল ঢেলে আচমকাই প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘোষণা করেন যে দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের সামনে ক্যানপিতে নেতাজির গ্রানাইটের মূর্তি বসবে। সেই মূর্তি তৈরি হতে অবশ্য প্রায় ছয় মাস সময় লাগার কথা। আর সেই সময়কালে সেখানে নেতাজির একটি হলোগ্রাম প্রতিকৃতী থাকবে বলে জানিয়েছিলেন মোদী। সেই হলোগ্রাম তিনি প্রকাশ করেন ২৩ জানুয়ারি সন্ধ্যায়। আর ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সেই ক্যানপির সামনেই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা বিক্ষওভ প্রদর্শন করলেন সেই হলোগ্রাম সেখানে উপস্থিত না থাকায়।এর আগে বুধবার সংসদেও এই বিষয়ে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। সংসদে তিনি ট্যাবলো প্রসঙ্গও তুলে আক্রমণ শানান কেন্দ্রীয় সরকারকে। নেতাজিকে হাতিয়ার করে সংসদে বিজেপিকে বিঁধেছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্রও।