তৃণমূল কংগ্রেসকে টাইট দিতে ত্রিপুরার পুলিশ–প্রশাসনকেই কাজে লাগিয়েছিল বিপ্লব দেবের সরকার। আর এবার সেটাই ব্যুমেরাং হয়ে দাঁড়াল। কারণ পুলিশ ত্রিপুরা হাইকোর্টের মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের নোটিশ দিতে চেয়েছিল। সেটাই খারিজ করে দিয়েছে আদালত। আজ ত্রিপুরা হাইকোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে, এই মামলায় কাউকে নতুন করে নোটিশ দেওয়া যাবে না। সুতরাং জোর ধাক্কা খেল বিপ্লব দেবের সরকার। গোটা বিষয়টি পিছিয়ে দেওয়া হল।ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতাদের গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই ইস্যুতে খোয়াই থানায় গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা পুলিশকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয়। দীর্ঘক্ষণ থানায় বসে থেকে সবাইকে জামিনে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন। এই নিয়েই আদালতে যায় পুলিশ। সরকারি কাজে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে তাঁদের নোটিশ পাঠাতে চায় পুলিশ। কিন্তু ত্রিপুরা হাইকোর্ট সাফ জানাল, এই মামলায় নতুন করে কাউকে নোটিশ দেওয়া যাবে না। পুজোর পরে আলোচনা হবে। কিন্তু ততক্ষণ কাউকে ডাকা যাবে না।ইতিমধ্যেই বিপ্লব দেবের সরকার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত রাজ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তাই সেখানে কোনও মিটিং, মিছিল, সভা–সমাবেশ করা যাবে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকাতেই এই পদক্ষেপ করেছে ত্রিপুরার সরকার বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। এবার ত্রিপুরা হাইকোর্ট সরকারের পথে হেঁটেই ধাক্কা দিয়ে দিল। কারণ পুরো বিষয়টি দুর্গাপুজো পর্যন্ত পিছিয়ে দিল আদালত। সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষকে ডেকে পাঠায় পুলিশ। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে যায় তৃণমূল কংগ্রেস। বৃহস্পতিবার আদালত জানায়, পুজোর পর বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হবে। তবে এখন আর নতুন করে কাউকে নোটিশ দেওয়া যাবে না।কিন্তু ত্রিপুরা পুলিশের তলবে সাড়া দিয়ে আগরতলার এনসিসি থানায় যান কুণাল ঘোষ। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে আইএলএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। মিটিং–মিছিল যেমন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। তেমনই নোটিশ জারি করে তলব করা এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা যাবে না বলে পিছিয়ে দিল ত্রিপুরা হাইকোর্ট। সুতরাং আদালতে ধাক্কা খেল ত্রিপুরা সরকার বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।