বাজি ফাটিয়ে চলছিল রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদযাপন। সেই সময় কয়েকজন💙 যুবককে মারধরের অভিযোগে এক পুলিশকর্তা এবং এক প্রশাসনিক আধিকারিককে সরিয়ে দিল মধ্যপ্রদেশ সরকার।
বিজেপি নেতাদের প্রতিবাদের ভিত্তিতে খারগোনে জেলা থেকে তাঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মহকুমা পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) গ্ল্যাডউইন এডওয়ার্ডকরকে পুলিশের সদর দফতরে পাঠানো হয়েছে এবং মহকুমা শাসক অভিষেক গেহলটকে রাﷺজ্যের সচিবালয়ে বদলি করা হয়েছে।
খারগোনে জেলার স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজি ফাটিয়ে 🎃♏সারাফা বাজারে রাম মন্দিরের ভূমিপুজো উদযাপন করছিলেন তাঁরা। সেই সময় কয়েকজন যুবককে পুলিশ মারধর করে বলে অভিযোগ। বাজেয়াপ্ত করা হয় বাজি। স্বর্ণ সমিতির বল্লভ ভাণ্ডারীর অভিযোগ, দু'জন আধিকারিক-সহ পুলিশের একটি দল মারধর করে। ১০-১১ জনকে থানায় নিয়ে যায়। তাঁর কথায়, ‘কোনও জনপ্রতিনিধি আমাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। (পরে) ৫০০-৭০০ জন থানায় গেলে তাঁদের (১০-১১ জনকে) ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রশাসন এবং পুলিশের পদক্ষেপে উৎসাহিত হয়ে রাতে এলাকায় বাইকে করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত এবং কয়েকজনের উপর হামলা চালিয়ে তাঁদের আহত করে। কিন্তু সেই ঘটনায় কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি।’
সেই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দোকান বন্ধ রাখেন শহরের ব্যবসায়ীরা এবং আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। ‘অভিযুক্ত’ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপের দাবি জানান বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয় এবং স্থানীয় বিজেপি সাংসদ গজেন্দ্র সিং প্যাটেল। তারপরই দুই আধিকারিকের উপর বদলির খাঁড়া নেমে আসে। সেই বদলির স্বপক্ষে যুক্তি খাড়া করে বিজেপি শাসিত রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মহকুমা শাসক এবং মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দোষী প্রমাণিত হয়েছেন। তাই তাঁদের বদলি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে যাবতীয় পদক্ষেপ করছে সরকার♎।’
যদিও বি꧑জেপি শাসিত সরকারের বদলির সিদ্ধান্তে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন পুলিশকর্তারা। নাম গোপন রাখার শর্তে এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, ‘অনুষ্ঠানের সংবেদনশীলতার জন্য শহরে বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। খারগোনে এমনিতেই যথেষ্ট সংবেদনশীল এলাকা। যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হত, তাহলে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বড়সড় দ্বন্দ্ব হত।’