রুশ হামলায় দাউ দাউ করে জ্বলছে ๊ইউক্রেনের জাপোরিঝঝিয়ায় অবস্থিত ইউরোপের সর্ববৃহৎ পারমাণবিক পাওয়ার প্ল্যান্ট৷ ইউক্রেনের তরফে জাপোরিঝঝিয়া নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টের উপর হামলা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে রাশিয়াকে৷ ইউক্রেনের দক্ষিণে নাইপার নদীর তীরে অবস্থিত এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ইউক্রেনের মোট বিদ্যুতের চাহিদার এক চতুর্থাংশ মেটানো হয়৷ এই পরিস্থিতিতে চেরনোবিল বিপর্যয়ের কথা মনে করিয়ে গোটা ইউরোপকে সতর্ক করলেন ইউক্রেনের মন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। তিনি দাবি করেন চেরনোবিলের থেকে দশ গুন বেশি ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। পাশাপাশি ꦆদিমিত্রো কুলেবা দাবি করেন রাশিয়ার সেনারা দমকলকর্মীদের যেতে যাওয়া হচ্ছে না।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে আর্জি জানান যাতে দমকলকর্মীদের ঘটনাস্থলে যেতে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, এর আগে ইউক্রেনের উত্তরে অবস্থিত চেরনোবিল পারমাণবিক পাওয়ার প্ল্যান্ট দখল করেছিল রুশ বাহিনী। এই চেরনোবিলেই ১৯৮৬ সালে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছিল, যার প্রভাবে পূর্ব ইউরোপ জুড়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ ছড়িয়ে পড়েছিল।𒈔 পরবর্তীতে চেরনোবিল পর্যটন স্থলে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় কয়েক হাজার সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।
ইউক্রেনের দাবি, এই প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ ঘটলে তা হবে চরম বিপর্যয়ের৷ সমগ্র ইউরোপের কাছেও ইউক্রেন আবেদন জানিয়েছে যাতে রাশিয়ার এই হামলা ঠেকানোর জন্য যেকোনও পর্যায়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়৷ এদিকে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা জানিয়েছে, জাপোরিঝঝিয়ায় ক্রমেই রেডিয়েশনের মাত্রা বাড়ছে। উল্লেখ্য, আজকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নবম দিন। ক্রেমলিনের তরফে হামলা🐼র তীব্রতা বাড়ানো হয়েছে। তবে এরই মধ্যে গতকালই ইউক্রেন-রাশিয়ার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে স্থির হয়েছে যে সাধআরণ নাগরিকদের জন্য ‘সুরক্ষিত করিডোর’ করে দেওয়া হবে সংঘর্ষের এলাকা ছেড়ে যাওয়ার জন্য। তবে যে সময় এই বৈঠক হচ্ছিল, প্রায় সেই সময়ই ইউক্রেনের পারমাণবিক পাওয়ার প্ল্যান্টে হামলা চালায় রুশ বাহিনী।