তৃতীয় এনডিౠএ সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট আজ, মঙ্গলবার পেশ করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। লোকসভা নির্বাচনের কারণে চলতি বছরের গোড়ায় নিয়মমাফিক পূর্ণ♏াঙ্গ বাজেট পেশ করা সম্ভব হয়নি। আজ সংসদে ২০২৪–২৫ সালের বাজেট পেশ করেছেন তিনি। লোকসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর উপস্থিতিতে বাজেট পেশ করেন নির্মলা। স্পিকারের চেয়ারে আছেন ওম বিড়লা। এখানে প্রধানমন্ত্রী জনজাতীয় উন্নত গ্রাম অভিযান প্রকল্পের কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
এই প্রকল্পে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনের সামাজিক–আর্থিক উন্নয়ন হবে বলে দাবি করা হয়েছে। আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে এবং জেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হবে। যে🎉 সমস্ত আদিবাসী–জনজাতি পরিবার এখনও অনুন্নয়নের মধ্যে রয়েছে তাদেরকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেন, ‘এই প্রধানমন্ত্রী জনজাতীয় উন্নত গ্রাম 🅠অভিযান প্রকল্পের জেরে ৬৩ হাজার গ্রামের উন্নতি ঘটবে। আর ৫ কোটি আদিবাসী মানুষের সামাজিক আর্থিক উন্নতি ঘটবে।’
চলতি অর্থবর্ষে সম্ভাব্য রাজকোষ ঘাটতি✅ হতে পারে ৪.৯ শতাংশ। রাজকোষ ঘাটতি ক্রমশ কমানোর কথা জানান নির্মলা সীতারামন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘মহিলাদের ক্ষমতায়নের জন্য খোলা হবেꦏ বিশেষ হস্টেল, মায়েদের সুবিধার জন্য রাখা হবে ক্রেশের ব্যবস্থাও। বেকারত্ব দূরীকরণে ইপিএফওতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর প্রত্যেক কর্মীকে এক মাসের বেতন এবং পিএফের টাকা দেবে কেন্দ্র। ইন্টার্নশিপ স্কিম চালু করবে কেন্দ্র। মাসে ৫ হাজার টাকা দেওয়ার ফলে উপকৃত হবেন ১ কোটি যুবক–যুবতী। সরকারের লক্ষ্য থাকবে গরিব, মহিলা, যুব এবং অন্নদাতাদের প্রতি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের মধ্যেই পাঁচ ঘণ্টা কার্ফু শিথিল হচ্ছে, ইন্🧜টারনেট বন্ধ এখনও
এছাড়া দেশের চার শ্রেণীকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গরিব, মহিলা, কৃষক এবং যুবক। দেশের ক্ষুদ্রশিল্প এবং মধ্যবিত্তের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব বাজেটে ঘোষণা করা হয়। কর্মসংস্থান ও দক্ষতায় বিশেষ জোর দꦆেওয়া হচ্ছে। বিকশিত ভারতের জন্য় রোডম্যাপ ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী। দেশের অর্থনীতিতে বিকাশের হার ঊর্ধ্বমুখী করা হবে। আর কৃষিক্ষেত্রে সংস্কার ও গবেষণায় বিশেষ জোর দেওয়া হবে। অর্থমন্ত্রীর কথায়, ‘এই প্রস্তাবে সরকার ৯টি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়েছে। সেগুলি হল—কৃষি উৎপাদন ও কৃষিতে স্থিতিশীলতা, কর্মসংস্থান ও দক্ষতার উন্নয়ন বৃদ্ধি, মানবসম্পদ বৃদ্ধি ও সামাজিক ন্যায়বিচার, কলকারখানা ও পরিষেবা বৃদ্ধি, চাকরির সুযোগ তৈরি, নগরোন্নয়ন, বিদ্যুৎ, পরিকাঠামো, গবেষণা ও আগামী প্রজন্মের জন্য সংস্কার।’