সকালেই উত্তরপ্রদেশের নারীদের সুরক্ষার বিষয়ে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। কয়েক ঘণ্টা পরই হাথরাসের পুলিশ সুপার বিক্রান্ত বীর-সহ তিন পুলিশকর্তাকে সাসপেন্ড করে দিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। হাথরাসের ঘটনায় গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) প্রাথমিকভাবে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তাতে তদন্তে ‘অব্যবস্থাপনার’ জন্য পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের সাসপেন্ড করার কথা বলা হয়েছিল। একইসঙ্গে সেই ঘটনায় যুক্ত সকলের লাই-ডিটেক্টরের সামনে বসানোর প্রস্তাব দিয়েছে সিট। তরুণীর পরিবারের সদস্যদেরও সেই পরীক্ষার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।দেশজুড়ে প্রতিবাদের মধ্যে শুক্রবার যোগী টুইট করেন, ‘রাজ্যের প্রত্যেক মা এবং বোনেদের রক্ষা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ উত্তরপ্রদেশ সরকার। এটা আমাদের প্রতিজ্ঞা।’ যদিও যোগীর সেই আশ্বাসের মধ্যেই তাঁর প্রশাসনের বিরুদ্ধে হাথরাসের তরুণীর পরিবারের বাজেয়াপ্ত করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, তরুণীর বাবাকেও হেনস্থা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।তরুণীর গ্রাম থেকে এক কিশোর বেরিয়ে এসে শুক্রবার সকালে অভিযোগ করেন, পরিবারের ফোন বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে পুলিশ। তরুণীর বাবা সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলতে চান বলে দাবি করেন ওই কিশোর। যদিও সাংবাদিকদের তরুণীর বাড়ির ধারেকাছেও ঘেঁষতে দেওয়া হচ্ছে না। যে সাংবাদিকরা পুলিশি ব্যারিকেডের ফাঁক গলে চলে যাচ্ছেন , তাঁদেরও আটকে দিচ্ছে পুলিশ। কোন আইনে তাঁদের আটকানো হচ্ছে, তা নিয়ে রাস্তায় ধরনায় বসেন কয়েকজন সাংবাদিক। গত কয়েকদিন ধরে এমনিতেই থমথম করছে হাথরাস। গ্রামের রাস্তার কাছে ব্যারিকেড করে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। শুক্রবার সকালে রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন-সহ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল যাওয়ার চেষ্টা করলে তরুণীর বাড়ির ১.৫ কিলোমিটার আগে তাঁদের আটকে দেওয়া হয়। কিন্তু তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার বিষয়ে অনড় ছিলেন তাঁরা। সেই অনুমতি তো দেওয়া হয়নি, উলটে ডেরেককে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয় যোগীর পুলিশ।