শনিবার সকাল হতে না হতেই ফের উদ্ধারকাজ শুরু হল ওয়েনাড়ে। কেরলের এই জেলায় ভূমিধসের জেরে এখনও পর্যন্ত ৩০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত করা গিয়েছে। তবে এখনও ৩০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন সেখানে। এই আবহে মৃতের সংখ্যা আরও অনেকটাই বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে সেই আশঙ্কার মেঘ মাথার ওপর নিয়েই ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করছেন উদ্ধারকারীরা। সারমেয় এবং অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে মৃত বা জীবিতদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে সেখানে। এদিকে রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলার ২৪২ জন শ্রমিক কেরলে আটকে আছেন। তাঁদের মধ্যে থেকে ১৫৫ জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়েছে এখনও। তাঁরা সুস্থ আছেন বলে জানা গিয়েছে। এদিকে আটকে পড়া ওই শ্রমিকরা দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। (আরও পড়ুন: শক্তি বাড়াল নিম্নচাপ, সকাল থেকেই শুরু বৃষ্টি, আজ কি ভারী♒🍰 বর্ষণ কলকাতায়?)
আরও পড়ুন: বাংলার সরকারি 🌺কর্মীদের জন্যে বড় খবর, বন্ধ সুবিধা,জারি পকেটে প্রভাব ফেলা নির্দেশ
রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবার গভীর থেকেই ওয়েনাড়ের মেপ্পাদির কাছে একাধিক পাহাড়ি এলাকায় ধস নামে। রাত ১ টা নাগাদ মুন্ডাওক্কাই টাউনের কাছে প্রথম ধস নেম🌺েছিল। এর ঘণ্টাতিনেক পরে দ্বিতীয় ধস নামে একটি স্কুলের কাছে। তার জেরে আশপাশের বাড়ি এবং দোকানের মধ্যে জল এবং কাদা ঢুকে যায়। ওই এলাকায় একটি ব্রিজও ভেঙে পড়ে। তার জেরে কমপক্ষে ৪০০টি পরিবার আটকে পড়ে। একাধিক গাড়ি ভেসে যায়। এই দুর্যোগের জেরে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৩০০-র গণ্ডি ছাড়িয়েছে।
এদিকে এই দুর্যোগের মধ্যেই উদ্ধারকাজ জারি রাখতে চটজলদি বেইলি ব্রিজ তৈরি করেছে ভারতীয় সেনা। এই পরিস্থিতিতে আটকে থাকা মানুষজনকে নিরাপদস্থানে নিয়ে আসার প্রয়াস জারি আছে সেখানে। ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ, সিভিল ডিফেন্স, এনডিআরএফ এবং স্থানীয় কুইক রেসপন্স দলের সদস্যরা উদ্ধার অ🐻ভিযানে অংশ নিচ্ছেন। কান্নুরের ডিএসসি সেন্টারের ভ🧸ারতীয় সেনা কর্মী এবং কোঝিকোড় থেকে ১২২ টিএ ব্যাটালিয়নও ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এর পাশাপাশি, বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারও ব্যবহার করা হচ্ছে অভিযানে। ধ্বংসস্তূপে কেউ বেঁচে আছে কি না, তা জানতে ড্রোনের মাধ্যমে খুঁজে দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যে সেখানে বৃষ্টি জারি আছে। যার জেরে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধার অভিযান। তবে সব প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। এই আবহে অবিশ্বাস্য ভাবে অনেকেই উদ্ধারও করছে তাঁরা।