ক্যাথলিক চার্চের ইতিহাসে রচিত হল নয়া ইতিহাস! পরবর্তী পোপ হিসাবে নির্বাচিত করা হল কার্ডিনাল রবার্ট প্রিভোস্তকে। ৬৯ বছরের এই ধর্মযাজক ভ্যাটিকানের বিশপের ইনফ্লুয়েনশিয়াল অফিসের প্রধান এবং একজন মিশনারি। তার থেকেও বড় কথা, তিনি হলেন প্রথম মার্কিন নাগরিক যিনি পোপের পদে আসীন হচ্ছেন। তথ্য বলছে, চার্চের ২,০০০ বছরের ইতিহাসে এমনটা আগে কখনও ঘটেনি!
সন্ন্যাসী বা ধর্মযাজক হিসাবে তাঁর জীবনের অধিকাংশটাই পেরুতে ধর্মচর্চা করে কাটিয়েছেন প্রিভোস্ত। পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর নতুন পরিচয় হবে - ১৪তম লিও (Leo XIV)। তিনি তাঁর নিজের জন্য এই নামই বেছে নিয়েছেন।
পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণের পর তাঁর উত্তরসূরি কে হবেন, তা স্থির করতে কার্ডিনালদের সম্মেলন আয়োজন করা হয়। সেই সম্মেলনেই প্রিভোস্তকে পরবর্তী পোপ হিসাবে নির্বাচিত করা হয়।
তারপরই প্রথা মেনে সিস্টাইন চ্যাপেলের চিমনি দিয়ে সাদা ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। এবং সেন্ট পিটার্স ব্যাসিলিকার মহান ঘণ্টা বেজে ওঠে। যা ছিল পরবর্তী পোপকে নির্বাচিত করার প্রতীক। উল্লেখ্য, সংশ্লিষ্ট সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে এভাবেই ২৬৭তম পোপকে বেছে নেওয়া হয়।
স্থানীয় সময় সন্ধে ৬টা ৭ মিনিটে সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে জড়ো হওয়া জনতা উল্লাসধ্বনিতে ফেটে পড়ে। কারণ, পরবর্তী পোপকে যে নির্বাচন করা হয়ে গিয়েছে, সেই বার্তা দেন ধর্মযাজকরা। তাঁরা ক্রসের প্রতীক প্রদর্শন করেন এবং সন্ন্যাসিনীরা কাঁদতে শুরু করেন। জনতার মুখে স্লোগান শোনা যায় - 'ভিভা ইল পাপা!' সেই সময় আকাশে সাদা ধোঁয়া দেখা যায়। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা হাজার হাজার মানুষ পতাকা নেড়ে নয়া পোপের নির্বাচনকে স্বাগত জানায়।
এই সাদা ধোঁয়ার অর্থ হল, নয়া পোপ অন্তত তাঁর পক্ষে ৮৯ জনের সমর্থন, অর্থাৎ ৮৯টি ভোট পেতে সমর্থ হয়েছেন। এই ভোটাভুটিতে মোট ১৩৩ জন কার্ডিনাল অংশগ্রহণ করেন। জনতা যখন নয়া পোপের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত হওয়ার জন্য অপেক্ষা করে, সেই সময়েই সুইস গার্ড মার্চ করে তাদের জন্য নির্ধারিত জায়গায় পৌঁছে যায়। সঙ্গে থাকে একটি মিলিটারি ব্যান্ড।