আইপিএল কি বাতিল হয়ে যাবে? আজই সিদ্ধান্ত হয়ে যেতে পারে। এমনিতে পঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ এদিন বাতিল হওয়ার পরই বিসিসিআইয়ের সহ সভাপতি রাজীব শুক্লা জানিয়েছিলেন, যে বিসিসিআই আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবারই সিদ্ধান্ত নেবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের ভবিষ্যৎ নিয়ে। কিন্তু পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শুক্রবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইল না আইপিএলের গভার্নিং কাউন্সিল, দাবি করা হয়েছে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে। এরপরই জানিয়ে দেওয়া হল, শুক্রবারের ম্যাচ আপাতত বাতিল করা হচ্ছে না।
গভার্নিং কাউন্সিলের বৈঠক শুরু
বৃহস্পতিবার রাত ১০.১৫ নাগাদই এই বৈঠক শুরু হয়েছে বলে খবর। আইপিএলে বেশ কয়েকটি দলের ক্রিকেটারদের মধ্যেই ভয়ের সঞ্চার ঘটিয়েছে এই অশান্তির আবহ। আর আইপিএল যেহেতু বেশ কয়েকটি রাজ্যে ঘুরে ঘুরে হয়, আর প্রচুর সংখ্যায় দেশি ও বিদেশি ক্রিকেটাররা এর সঙ্গে জড়িত, তাই বিসিসিআইও বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছে।
রাজীব শুক্লা জানিয়েছেন ক্রিকেটারদের নিরাপত্তাকেই প্রাধান্য
এমনিতে বিসিসিআইয়ের যে অর্থবল বা ক্ষমতা, তাতে তাঁরা চাইলে এই লিগকে আপাতত স্থগিত করে দিয়ে বছরের মাঝামাঝি বা শেষের দিকেও পুনরায় চালু করতে পারে। কিন্তু পাকিস্তানের সন্ত্রাসে যদি কোনও ক্রিকেটার বা দল প্রভাবিত হয়, তাহলে ভারতীয় বোর্ডও প্রশ্নের মুখে পড়বে। আর বিসিসিআই ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে ক্রিকেটারদের নিরাপত্তাই তাঁদের মূল চিন্তাভাবনার বিষয়। এবং ক্রিকেটারদের স্বার্থকেই তাঁরা অগ্রাধিকার দেবে।
GT রয়েছে দিল্লিতে, MI পৌঁছে গেছে আমদাবাদে
এখনও পর্যন্ত গুজরাট টাইটান্স দল দিল্লিতে পৌঁছে গেছে ম্যাচের জন্য। আর মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলও রবিবারের ম্যাচের জন্য আমদাবাদে পৌঁছেছে। কিন্তু সমস্যার মূলে আগামীকালের লখনউ সুপার জায়ান্টের ম্যাচ। এই ম্যাচ হওয়ার কথা উত্তরপ্রদেশে, অর্থাৎ উত্তর ভারতে। আর পঞ্জাব পর্যন্ত পাকিস্তানের সন্ত্রাসের আবহ ছড়িয়ে পড়ায় শুক্রবারের ম্যাচ নিয়েও এদিনই সিদ্ধান্ত নিল বিসিসিআই। আইপিএলের চেয়ারম্যান অরূন ধুমল জানিয়ে দিলেন, ‘এখনও পর্যন্ত যা সিদ্ধান্ত, তাতে কালকের ম্যাচ হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি সমানে বদলে চলেছে, তাই সেদিকেও নজর রাখতে হবে ’।
পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা দেবে ভারত?
বিসিসিআই যদি আইপিএল কোনও কারণে বাতিল করে দেয়, তাহলে বুঝতে হবে পাকিস্তানের কপালে দুঃখ রয়েছে। কারণ যদি এমনি ছোটখাটো অশান্তির অনুমান ভারত করত, তাহলে আইপিএলকে বাতিল হতে হত না। কিন্তু কয়েক হাজার কোটি টাকার এই লিগ বাতিল হয়ে যাওয়া মানে বিসিসিআই তথা কেন্দ্রের তরফেও স্পষ্ট বার্তা তাঁদের কাছে রয়েছে, যা থেকে অনুমান করাই যায়, পাকিস্তানকে উচিত শিক্ষা ভারত দেবেই বলেই নিজেরা কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে। আর এমনিতেও পাকিস্তানের যেভাবে নিরীহ মানুষদের হত্যার ছক কষেছে, তাতে তাঁরা যদি ক্রিকেট মাঠকেও টার্গেট বানায়, সেটা অস্বাভাবিক কিছুই নয়। এর আগেও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীরা গুলি করেছিল খেলার মাঠে।