দিল্লি ক্য়াপিটালস বনাম পঞ্জাব কিংসের ম্যাচ বাতিল হয়ে গেল। হঠাৎই করেই ধর্মশালা স্টেডিয়ামে বাতিস্তম্ভ নিভে যায়। এরপরই প্রশ্ন ছড়িয়ে পড়েছিল, তাহলে কি ভারত-পাকিস্তান উত্তপ্ত সম্পর্কের জেরেই এই ঘটনা হল? এর আগে কখনও এমন ঘটনা আইপিএলে হয়নি, যে দুই দেশের যুদ্ধ বা অশান্তির জন্য ম্যাচ বাতিল হচ্ছে।
ম্যাচ বন্ধ আইপিএলে
আলো নিভে যাওয়ার পরই দুই দলকে মাঠ ছাড়তে বলা হয়। গত ২দিন ধরেই বারবার উত্তপ্ত হয়েছে ভারত-পাকিস্তানের মাটি। অপারেশন সিঁদুরের আবহে পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে ভারতীয় সেনার হামলার জঙ্গিঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলার পর সন্ত্রাসবাদীদের পাশে দাঁড়িয়েই পাকিস্তান পাল্টা হামলা চালিয়েছে এদিন কাশ্মীরের পুঁচ সেক্টরসহ বেশ কয়েকটি জায়গায়, যেখানে ভারতীয়রা প্রাণ হারিয়েছেন।
ধর্মশালায় ম্যাচ বাতিল হয়
এই আবহেই ধর্মশালায় এদিনের ম্যাচ হচ্ছিল। আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, রবিবারের পঞ্জাব কিংস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ম্যাচ আমদাবাদে সরিয়ে দেওয়া হবে, তবে এদিন পূর্ব নির্ধারিত সূচি মতোই ম্যাচ বহাল রাখা হয়েছিল ধর্মশালায়। গায়ক বি প্রাক এদিন গানও গেয়েছিলেন, দেশের সেনাকে সম্মান জানিয়ে। তবে কিছুক্ষণ কাটতে না কাটতেই তাল কাটল।
ফ্লাডলাইটে আলো নিভল ধর্মশালায়
পঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ দেখতে আশা দর্শকদেরও মাঠ ছাড়তে নির্দেশ দেওয়া হল খেলার মাঝেই। এমনিতেই ভারতের দুই স্টেডিয়ামে ইতিমধ্যেই বোমাতঙ্কের হুমকি মেল এসেছে। এই আবহেই ধর্মশালায় ফ্লাডলাইটের আলো নিভিয়ে দেওয়ায়, সেখানে খেলা হওয়ার আর কোনও সম্ভাবনা ছিল না বললেই চলে।
আম্পায়াররা খেলা বাতিলের পর মাঠ ছাড়তে বলা হয় দর্শকদের
ব্ল্যাক আউটের মতো কিছু যে একটা হচ্ছে, সেটাও অনুমান করে নিয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়াররা। কিছুক্ষণের মধ্যেই এদিনের এই ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়। অনেকেই মনে করছে, এদিনের ম্যাচ বাতিলের সঙ্গে আসলে ফ্লাডলাইটের আলো বন্ধ হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। কারণ আলো যদি অন্য কারণে অর্থাৎ প্রযুক্তিগত কারণে নিভে থাকত, তাহলে তার জন্য আম্পায়াররা অপেক্ষা করতেন। কিন্তু উত্তর ভারতের এই স্টেডিয়ামে আম্পায়ার, টিম সদস্য এবং দর্শকদের দ্রুত মাঠ ছাড়ার পরামর্শে সাময়িকভাবে একটু আতঙ্ক তৈরি হয় মানুষের মধ্যে।
যদিও বিসিসিআই জানায়, ‘হঠাৎ করেই মাঠ সংলগ্নে এলাকায় বিদ্যুতজনিত সমস্যার জন্যেই মাঠের একটি বাতিস্তম্ভের আলো নিভে যায়, সেই কারণেই দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম পঞ্জাব কিংসের ম্যাচ এদিন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। বিসিসিআই এই ঘটনার জন্য দুঃখিত’। এরপর ১০.১ ওভারের মাথায় পঞ্জাব কিংসের যখন স্কোর ১ উইকেটে ১২২, তখনই এই ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।