মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার প্র𓂃তিধ্বনি শোনা গেল ইলন মাস্কের গলায়। ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী যে কায়দায় প্রচার চালাচ্ছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনে প্রচারের সময় সেই ‘স্ট্র্যাটেজি’ নিলেন টেসলার সিইও। তিনি দাবি করেন, আমেরিকার মানুষ যদি এবার ভোট না দেন, তাহলে ‘এটাই তাঁদের শেষ নির্বাচন হবে’। আর লোকসভা নির্বাচনের প্রচার-পর্বে মমতা দাবি করেছিলেন যে নরেন্দ্র মোদীরা জিতে গেলে সেটাই শেষ নির্বাচন হবে। দেশে গণতন্ত্র থাকবে না।
‘আমেরিকায় গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে ট্রাম্পকে জিততে হবে’
ট্রাম্পের সমর্থনে প্রচারের সময়ও মাস্কের গলায় একইরকম স্বর শোনা যায়। মাস্ক বলেন, ‘সংবিধান রক্ষা করতে অবশ্যই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে জেতাতে হবে। আমেরিকায় গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে তাঁকে অবশ্যই জিততে হব🍒ে। এটা মাস্ট-উইন পরিস্থিতি। তাই দর্শকদের আসনে যাঁরা বসে আছেন, যাঁরা এই ভিডিয়োটা দেখছেন, যাঁরা লাইভস্ট্রিমিং দেখছেন, তাঁদের কাছে আমꦓার একটাই আর্জি আছে।'
গত জুলাইয়ে পেনিসিলভানিয়ার যেখানে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল, সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে নিজের অনুরোধের প্রসঙ্গে মাস্ক বলেন, ‘এই একটা আর্জি খꦇুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভোট দেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করুন। আপনারা যাঁদের চেনেন, তাঁদের সেটা জানান। আর যাঁদের চেনেন না, তাঁদের ধরে টেনে আনুন, যাতে তাঁরাও ভোট দেওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করেন। আর তারপর নিশ্চিত করুন যে তাঁরা ভোট দিচ্ছেন। তাঁরা যদি ভোট না দেন, তাহলে এটাই শেষ নির্বাচন হবে। এটাই আমার ভবিষ্যদ্বাণী।’
বাইডেনকে কটাক্ষ মাস্কের, প্রশংসা ট্রাম্পের
মাস্ক দাবি করেছেন, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কেউ কেমন আচরণ করেন, সেটা থেকেই কারও প্রকৃত ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাওয়া যায়। সেই রেশ ধরেই বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে আক্রমণ শানিয়ে মাস্ক বলেন, ‘আমাদের এমন একজন প্রেসিডেন্ট ছিলেন, যিনি সিঁড়িতে চড়তে পারতেন না। অপর একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরেও মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে দেখিয়েছিলেন। (বলেছিলেন যে) ফাইট, ফাইট, ফাইট। মুখ থেকে রক্ত বেরিয়ে আসছিল। আমেরিকা বীরদের জায়গা। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কতটা সাহস দেখাতে পারছেন, সেটার থেকে𒐪 বড় পরীক্ষা কিছু হয় না। তাহলে আপনারা কি সত্যিকারের বীরদের প্রতিনিধিত্ব করেন?’
আরও পড়ুন: Trump Vs Google: তাঁর নাম সার꧅্চ করলে শুধু নেতিবাচক রেজাল্ট দিচ্ছে গুগল, গোঁসা ট্রাম্পের
‘জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন’
সেখানেই থামেননি মাস্ক। তিনি আরও বলেন,𒐪 ‘আমার মতে, এই নির্বাচনটা আমাদের সারাজীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এটা কোনও মামুলি নির্বাচন নয়। অপরপক্ষ আপনার বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিতে চাইছে। আপনার অস্ত্র কেড়ে নিতে চাইছে ওরা। ওরা আপনার ভোটাধিকার কেড়ে 🃏নিতে চায়।'
আরও পড়ুন: Donald Trump: ‘এবার যদি হেরে যা𓆏ই, আর নয়,’ প্রেসিডেন্ট ভোটে লড়তে নেমে এসব কী বলছেন ট্রাম্প!
সেইসঙ্গে মাস্ক বলেন, 'এখন ১৪টি রাজ্য আছে। যেখানে ভোট দেওয়ার জন্য ভোটার আইডি কার্ড লাগে না। আমি যে ক্যালিফোর𝄹্নিয়ায় থাকতাম, সেখানে সম্প্রতি একটি আইন পাশ করা হয়েছে, যে আইনের মাধ্যমে ভোটের জন্য ভোটার আইডি কার্ড নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমি এখনও এই বিষয়টা বিশ্বাস করতে পারছি না। যদি কোনও আইডি না থাকে, তাহলে কীভাবে ঠিক করে ভোট হবে?’