মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাকি আর একবছর। এই ঘিরে প্রচারের তৎপরতা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সেদেশে। এরই মধ্যে রাজনৈতꦜিক ভাবে বড় ধাক্কা খেলেন জো বাইডেন। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তে এখন তাই মুখ ভার মার্কিন প্রেসিডেন্টের। উল্লেখ্য, লাখ লাখ মার্কিন পড়ুয়ারা শিক্ষা ঋণ নিয়ে কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে ভরতি হয়। পড়াশোনা শেষ করে বহু বছর ধরে সেই ঋণ মেটাতে হয় সাধারণদের। এই আবহে মানুষের মন জয় করতে সেই ঋণ মুকুবের ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তবে সুপ্রিম কোর্ট তাঁর এই সিদ্ধান্তকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়েছে। উল্লেখ্য, বাইডেন এর আগে ঘোষণা করেছিলেন, মধ্যবিত্ত এবং নিম্নমধ্যবিত্তদের ক্ষেত্রে প্রতি পড়ুয়ার ২০ হাজার ডলার পর্যন্ত শিক্ষা ঋণ মুকুব করা হবে।
মঙ্গলবার মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের তরফে এক মাইলফলক রায়দান করে জানিয়ে দেওয়া হয়, লাখ লাখ মার্কিন পড়ুয়ার শিক্ষা ঋণ মু🐭কুব করার যে ঘোষণা জো বাইডেন করেছিলেন, তা খারিজ করা হচ্ছে। আদালত জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজের ক্ষমতার ঊর্ধ্বে গিয়ে ঋণ মুকুবের ঘোষণা করেছিলেন। উল্লেখ্য, বর্তমানে মার্কিন ফেডারেল সুপ্রিম কোর্টের ৯ বিচারপতির মধ্যে অধিকাংশ রক্ষণশীল মনোভাবাপন্ন। এই আবহে বাইডেনের ঋণ মুকুবের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে রায় দেন ৬ বিচারপতি। বাইডেনের সিদ্ধান্তের পক্ষে মত ছিল মাত্র ৩ বিচারপতির।
আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, বাইডেনের ঋণ মুকুবের প্রোগ্রাম কংগ্রেসের দ্বারা অনুমোদিত হতে হত। উল্লেখ্য, বাইডেন ২০০৩ সালের 'হাইয়ার এডুকেশন রিলিফ অপরচুনিটিজ ফর স্টুডেন্ট অ্যাক্ট' প্রয়োগ করে এই ঋণ মুকুবের ঘোষণা করেছিলেন। তবে আদলতের রায়, ঋণ মুকু🍨বের ক্ষেত্রে এই আইন প্রয়োগ করে ভুল করেছেন বাইডেন। প্রসঙ্গগ, ২০০৩ সালের সেই আইনটি আনা হয়েছিল বিশেষ কিছু পড়ুয়াদের জন্য। ২০০১ সালের ৯/১১ হামলার পর যে সকল মার্কিন তরুণ সামরিক বাহিনী যোগ দিয়েছিলেন, তাদের পড়াশোনার সাহায্যার্থে এই আইন এনেছিল তৎকালীন জর্জ ডাব্লু বুশ প্রশাসন। এই আবহে মার্কিন আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'এই ঋণ মুকুব করা উচিত কি উচিত না, সেটা প্রশ্ন নয়। এখানে প্রশ্ন হল, এই কাজ করার অধিকার কার রয়েছে।' এদিকে সুপ্রিম কোর্টের এই রায় মানতে নারাজ জো বাইডেন। হোয়াইট হাউজের তরফে জানানো হয়েছে, এই নিয়ে লডᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚᩚ𒀱ᩚᩚᩚ়াই জারি থাকবে।