লাদাখের প্য𝐆াংগং হ্রদের কাছে চিনের তরফে একটি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। ১৯৬০-এর দশকে ভারতের থেকে জবরদখল করা জমিতে এই সেতু নির্মাণ হচ্ছে। তবে পিএলএ-র এই সেতু নির্মাণকে ভালো চোখে দেখছে না আমেরিকা। এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আমেরিকার তরফে ভারতকে জোট গঠনের বার্তাও দেওয়া হয়েছে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর এক শীর্ষ কর্তার কথায়, ‘চিনের এই নির্মাণকাজ সেই অঞ্চলের ভারসাম্য নষ্ট করে দিতে পারে। এই ধরনের কাজ প্ജরতারণামূলক। এতে প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যে সম্পর্কে চিড় ধরিয়ে দেয়।’ উল্লেখ্য, প্যাংগং সংলগ্ন যে এলাকা চিনের দখলে, সেখানে এর আগেও ২০২১ সালের শেষের দিকে একটি সেতু নির্মাণ করেছিল পিএলএ। সেই সেতুর ঠিক পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে নয়া আরও বড় সেতুটি। বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রায় ছয় সপ্তাহ আগে এই দ্বিতীয় সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে চিনা সামরিক বাহিনী।
আমেরিকান সেনাবাহিনীর এক শীর্ষ আধিকারিক জেনারেল চার্লস এ ফ্লিনের এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘চিনের এই পদক্ষেপের মোকাবিলা করার জন্য আমাদের জোট বাঁধতে হবে।’ উল্লেখ্য, জেনারেল ফ্লিন হলেন এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমেরিকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কমান্ডিং অফিসার। ফ্লিন বলেন, ‘চিন যে তৎপরতার সঙ্গে ওই এলাকায় নির্মাণকাজ চালাচ্ছে, তা আম🐻াদের চোখে পড়েছে। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, কেন এই নির্মাণকাজ করছে চিন?’
সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা এক উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়ে🍷ছে, প্যাংগং লেকের কাছে বড় একটি সেতু নির্মাণ শুরু করেছে পিপল’স লিবারেশন আর্মি। এই সেতু দিয়ে অনায়াসে ট্যাঙ্ক ও যুদ্ধের সাঁজোয়া যান চলতে পারবে বলে মত সামরিক বিশেষজ্ঞদের। উল্লেখ্য, এর আগেও ভারতীয় সেনা দা🅰বি করেছিল যে প্যাংগং হ্রদ অঞ্চলে একটি সেতু নির্মাণ করছে চিন। তবে সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা উপ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে, নতুন এই সেতু আগেরটি থেকে অনেকটাই বড়।
১৩৫ কিমি বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত প্যাংগং হ্রদটির কিছুটা অংশ ভারতে আর কিছুটা অংশ তিব্বতে। ২০২০ সালে ভারত ও চিনা সেনা এই অঞ্চলে মুখোমুখি হয়েছিল। সেই উত্তেজনার পরিস্থিতি বিগত দিনে কিছুটা স্বাভাবিক হলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। পরিস্থিতি আগের মতো শান্ত নয় এখন আর। স𝐆ীমান্তে ১৫ দফা বৈঠকের পরও সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করেনি চিন। উল্টে বিভিন্ন জায়গায় নতুন পরিকাঠামো তৈরি করে পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে তারা। এই আবহে প্যাংগং সংলগ্ন এলাকায় এত বড় সেতু নির্মাণ করা হামলার আগাম আভাস কি না, তা বোঝার চেষ্টায় অনেকেই।