মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হল উত্তরাখণ্ডের নৈনিতাল জেলার রামগড়। জলের তোড়ে যে কাদা এবং নোংরার স্তূপ ভেসে এসেছে, তাতে চাপা পড়ে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা নাগাদ মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে রামগড় এবং ওখলাদান্দা ব্লকে হড়পা বান আছড়ে পড়ে। নৈনিতালের জেলাশাসক ধীরাজ সিং গারবিয়াল বলেছেন, ‘প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, নৈনিতাল শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে রামগড় ব্লকে মেঘভাঙা বৃষ্টির জেরে হড়পা পান হয়। তার জেরে রামগড় এবং ওখলাদান্দায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রামগড়ের খিলাড়ি গ্রামে কাদা এবং নোংরার স্তূপে চাপা পড়ে কমপক্ষে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’ সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘উদ্ধারকাজের পর এবং প্রশাসনিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পরই সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।’সোমবার থেকেই উত্তরাখণ্ড-সহ উত্তর ভারতের একাংশে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। প্রবল বৃষ্টির জেরে যে তীর্থযাত্রীরা এসেছেন, তাঁদের আপাতত চারধাম যাত্রায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, বৃষ্টি সংক্রান্ত ঘটনায় নেপালের দুই শ্রমিক-সহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। দু'জন আহত হয়েছেন। তারইমধ্যে মঙ্গলবার ভোরের দিকে হলদিয়ানি-সিতারগঞ্জ হাইওয়েতে গোলা নদীর ওঠার মুখে সেতু ছিল, তা প্রবল জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। তার জেরে হাইওয়েতে পুরোপুরি থমকে গিয়েছে যান চলাচল। প্রবল বৃষ্টিতে নৈনিতালের কাঠগোদাম স্টেশনে শান্টিং লাইনের তলা থেকে মাটি ধুয়েমুছে গিয়েছে। তার জেরে কাঠগোদামমুখী সব ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। স্টেশনের সুপার চয়ন রায়, ‘(লাইন) ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কাঠগোদামুখী সমস্ত ট্রেন বাতিল হয়ে গিয়েছে। সারাইয়ের পর আবার ট্রেন চলাচল শুরু হবে।’ শুধু তাই নয়, প্রবল বৃষ্টিতে নৈনিতাল লেকের জল উপচে পড়েছে। জলে থইথই করছে ম্যাল রোড। নায়না দেবী মন্দির চত্বরের মধ্যেও জল ঢুকে গিয়েছে।