করোনা আবহে দিল্লিতে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। গণপরিবহণের ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ ধারণ ক্ষমতা নিয়ে বাস-মেট্রো চলার কথা ঘোষণা করেছে রাজধানীর অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার। পাশাপাশি যাত্রী ভিড় ঠেকাতে বাসের সংখ্যাও কমানো হয়েছে রাস্তায়। এর এতসবের মাঝে দুর্ভোগের সম্মুখান নিত্য যাত্রীরা। আর তাই ধৈর্য হারিয়ে বৃহস্পতিবার দিল্লির দু’টি জায়গায় পৃথকভাবে ভাঙচুর চালালেন নি💛ত্যযাত্রীরা। বাসের সংখ্যা কম থাকায় এবং গন্তব্যস্থলে পৌঁছতে সমস্যা হওয়ায় এই বিক্ষোভ প্রদর্শন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি সরকারি নিয়ম মেনে একটি বাসে ১৭ জনের বেশি যাত্রী না নেওয়াতেও চটেছেন যাত্রীরা।
ঘটনার প্রেক্ষিতে দক্ষিণ দিল্লির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মান্দাভা হর্ষ বর্ধন বলেছেন, দুটি ঘটনায় জনসাধারণ মোট ছয়টি বাসের জানালার কাচ ভেঙেছে। এসব ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, প্রথম ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে রিপোর্ট করা হয়েছিল। সেই সময়, পুলিশ ꦍদক্ষিণ দিল্লির মেহরাউলি বদরপুর রোডে জামিয়া হামদর্দের কাছে যানজট সম্পর্কে একাধিক ফোন কল পেয়েছিল। পুলিশ যখন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তারা দেখতে পায় যে কিছু বাস যাত্রীরা অন্যদেরক꧒ে রাস্তায় বসতে প্ররোচিত করছে। কারণ বাস চালক এবং মার্শালরা সরকারের নির্দেশিত কোভিড নিষেধাজ্ঞা মেনে প্রতিটি বাসে ১৭ জনের বেশি যাত্রীকে ওঠার অনুমতি দিচ্ছেন না। পুলিশ সেখানে প্রতিবাদীদের বিক্ষোভ প্রদর্শন না করার অনুরোধ করে। পরে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সেখান থেকে সরায়। সেই সময় এক পুলিশকর্মী হালকা জখম হয় বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে এরপর সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ সঙ্গমবিহারে নিত্যযাত্রীদের তাণ্ডবের খবর আসে পুলিশের কাছে। বাসে উঠতে দেওয়ার জেরেই সেখানেও ঝামেলা শুরু করেন যাত্রীদের একাংশ। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে যায়। যাত্রীরা বাসের কাচ ভাঙতে শুরু করে। দিল্লি ট্রান্সপোর্ট ক🌸র্পোরেশনের বাসের কাচ ভাঙার প্রেক্ষিতে মামলা রুজু করা হয়। পাঁচজনকে আটকও করে পুলিশ।