ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ চলছে। চলমান যুদ্ধের মধ্যেই বহু ভারতীয় ইউক্রেনে আটকা পড়েছেন। তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনতে অপারেশন গঙ্গা শুরু করেছে মোদী সরকার। এরই মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বড় দাবি প্রকাশ্যে এসেছে। পুতিন দাবি করেছেন, ইউক্রেনে তিন হাজারের বেশি ভার🎃তীয় ছাত্রকে বন্দি করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, পুতিন আরও বলেন, চিনা ছাত্রদেরও বন্দি করা হচ্ছে ইউক্রেনে। পুতিন বলেন, ‘ইউক্রেন বিদেশিদের সরিয়ে নিতে বিলম্ব করার চেষ্টা করছে, তাদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।’ সংবাদ সংস্থা ইন্ডিয়া টুডে-তে প্রকাশিত খবরে দাবি করা হয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর পুতিন এই কথা বলেন।
জনগণের দুর্দশার জন্য ইউক্রেনকে দায়ী ক♈রে পুতিন দাবি, তাঁর সেনাবাহিনী নিরাপদ করিডোর দিয়েছিল যাতে সাধারণ মানুষ যুদ্ধ থেকে বাঁচতে পারে। এদিকে এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ভারত সরকার এক নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে খারকিভে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্দেশে। তাতে অবিলম্বে খারকিভ ছেড়ে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ভারতীয়দের। এই আবহে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত পূর্ব ইউক্রেন থেকে নিরাপদ এলাকায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন আটক🦩ে পড়া ভারতীয় পড়ুয়ারা।
এর আগে বুধবার খারকিভের যুদ্ধ তীব্র হতেই ভারত তার নাগরিকদেরকে অবিলম্বে শহর ছেড়ে যেতে বলে। এমনকি প্রয়োজনে তাদের পায়ে হেঁটে ভ্রমণ করতে বলা হয়। এই আবহে সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে ভারতীয়দের সরি নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি 'মানবিক করিডোর' তৈরির প্রতিশ্রুতি দেয় রাশিয়া। এদিকে ভারতীয়দের ‘বন্দি’ ক🌳রে রাখা প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচিকে এর আগে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, এই প্রসঙ্গে সরকারের কাছে কোনও তথ্য নেই। অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, ভারত ইউক্রেন ও রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছে। অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ১৮ হাজার ভারতীয় ইউক্রেন ছেড়েছেন। ইউক্রেনের তারিফ করছি, তাঁরা সমস্য়ায় থেকেও আমাদের পড়ুয়াদের নিরাপদে ফেরার সুযোগ করে দি꧟য়েছে। ইউক্রেনের প্রতিবেশীরাও সহায়তা করেছেন, তাদেরকেও ধন্যবাদ।’ তবে পুতিনের এই দাবির প্রেক্ষিতে ভারত সরকার কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাই দেখার...