২০১৯ সালে চন্দ্রযান ২-এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর তৎকালীন ইসরো প্রধান কে সিবানকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেই দৃশ্য এখনও অনেকেরই মনে আছে। আর আজ বেঙ্গালুরুতে ইসট্র্যাক-এ (টেলিমেট্রি ট্র্যাকিং অ্যান্ড কম্যান্ড নেটওয়ার্ক মিশন কন্ট্রোল কমপ্লেক্সে) গিয়ে সেই ৪ বছর পুরনো স্মৃতি ফেরালেন মোদী। এবারও ইসরো প্রধানকে জড়িয়ে ধরলেন তিনি। তবে এবারের মুহূর্ত ছিল আনন্দের। আজ বিদেশ সফর ফিরে সোজা বেঙ্গালুরুতে এসে নামেন মোদী। সেখান থেকে তিনি ইসট্র্যাক-এ যান। এখান থেকেই চন্দ্রযান ৩ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। সেখানে গিয়ে বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানান মোꦺদী।
আজ বেঙ্গালুরুর হ🐭্যাল বিমানবন্দরে নেমে সেখানে আগত মানুষদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত ভাষণ রেখেছিলেন মোদী। এরপর তিনি গাড়িতে চেপে ইসট্র্য💦াক-এ যান। সেখানে গাড়ি থেকে নামতেই ইসরো প্রধান এস সোমনাথ এগিয়ে যান তাঁর দিকে। তখন মোদী প্রথমে করমর্দন করেন, তারপর পিঠ চাপড়ে দেন সোমনাথের। এরপরই বিজ্ঞানীকে জড়িয়ে ধরেন তিনি। সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। এরপর মিশন কমপ্লেক্সে ঢুকে সব বিজ্ঞানীদের শুভেচ্ছা জানান মোদী।
এদিকে দেশের মাটিতে পা রেখেই এক সোশ্যাল মিডিয়া বার্তায় মোদী লেখেন, ༺'বেঙ্গালুরুতে অবতরণ করেছি। এবার ইসরোর অসাধারণ বিজ্ঞানীদের ๊সঙ্গে কথা বলতে যাব। আমাদের বিজ্ঞানীদের সঙ্গে দেখা করার জন্য আমি মুখিয়ে আছি। চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যে গোটা ভারত গর্বিত। বিজ্ঞানীরা যেভাবে নিজেদের এই কাজে উৎসর্গ করেছেন, সেই ইচ্ছাশক্তিই মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে আমাদের দেশকে এই সাফল্য এনে দিয়েছে।' এদিকে নিজের সংক্ষিপ্ত ভাষণে আজ মোদী স্লোগান তোলেন, 'জয় জওয়ান, জয় বিজ্ঞান, জয় অনুসন্ধান'।
এর আগে চন্দ্রাভিযানের সাফল্যের পর দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে মোদী বলেছিলেন, 'আমার প্রিয় পরিবারের সদস্যরা যখন নিজেদের চোখের সামনে এরকম ইতিহাস তৈরি হতে দেখি, তখন জীবন ধন্য হয়ে যায়। এরকম ঐতিহাসিক ঘটনা রাষ্ট্রের জন্য গর্বের বিষয়। এই মুহূর্তটা অবিস্মরণীয়। এই মুহূর্তটা উন্নত ভারতের জয়জয়কারের মুহূর্ত।' মোদী আরও বলেন, 'আগে বলা হত যে চাঁদমামা অনেক দূরে আছে। শিশুরা বলত যে চাঁদমামা অনেক দূরে আছে। এবার এমন একটি দিন আসবে, যখন শিশুরা বলবে যে চাঁদমামা একটি ট্যুরের দূরে আছে।' তাঁর কথায়, 'ভারত যে চন্দ্রযান ৩ মিশনে যে সফল হয়েছে, সেটা শুধু ভারতের সাফল্য নয়, আমরা এক বিশ্বের ধারণায় বিশ্বাস করি। আমাদের এক পৃথিবী, এক পরিবারের তত্ত্ব বিশ্বজুড়ে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। সেই মানবিকতাౠর ধারণার উপর নির্ভর করেই চন্দ্রাভিযান হয়েছে। তাই এই সাফল্য মনুষ্যত্বের।'