কুয়েতের অগ্নিকাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গের এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। কুয়েত সরকারের তরফে যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে মোট ৪৫ জন ভারতীয় মারা গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ২৩ জনই হলেন কেরলের বাসিন্দা। সাতজন আদতে তামিলনাড়ুতে থাকতেন। উত্তরপ্রদেশ এবং অন্ধ্রপ্রদেশের তিনজন করে বাসꦛিন্দারা মারা গিয়েছেন। ওড়িশা থেকে কুয়েতে গিয়ে কর্মরত দু'জন💯ের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র এবং পঞ্জাবের একজন করে ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
ভারতীয়দের মৃতদেহ ফিরিয়ে আনবে সি-১৩০জে বিমান
দক্ষিণ কুয়েতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে মৃত ভারতীয়দের দেহ ফ🌺িরিয়ে আনবে ভারতীয় বায়ুসেনার সি-১৩০জে বিমান। দিল্লিতে থাকা আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে শুক্রবার ভারতীয়দের দেহ নিয়ে সেই বিমান ফিরে আসবে। প্রথমে কেরলে অবতরণ করবে। কারণ মৃতদের মধ্যে অধিকাংশই কেরলের বাসিন্দা। তারপর দিল্লিতে অবতরণ করবে সেই বিমান। কারণ মৃতদের মধ্যে কয়েকজন উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির বাসিন্দাও আছেন। ইতিমধ্যে 🍎ডিএনএ পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে।
কুয়েতে বিধ্বংসী আগুন
কুয়েতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের রিপোর্🐼ট অনুযায়ী, বুধবার ভোর ৪ টে ৩০ মিনিট নাগাদ দক্ষিণ কুয়েতের একটি বহুতলে আগুন লাগে। প্রাথমিকভাবে রান্নাঘর থেকে লাগে আগুন। সেখান থেকে বহুতলের অন্যত্র আগুন ছড়িয়ে পড়ে। নির্মাণকারী সংস্থা এনবিটিসি গ্রুপের তরফে সেই বহুতল ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। সেখানে ওই সংস্থায় কর্মরত ১৯৫ জন থাকতেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ভারতীয় ছিলেন বলে কুয়েতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
কুয়েত সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, ৪৫ জন ভারতীয়ের মৃতদেহ চিহ্নিত করা হয়েছে। তিনজন ফিলিপিন্সের নাগরিকেরও মৃত্যু হয়েছে ব🙈লে কুয়েত সরকারের তরফে দাবি করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ৪৯ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে কুয়েত সরকার। কুয়েতের সংবাদসংস্থা কুনার রিপোর্ট অনুযায়ী, কুয়েত সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে 'বিদ্যুতিক সার্কিটের' জেরে সেই আগুন লেগেছে। ফরেন্সিক পরীক্ষার পরে আগুন লাগার প্রকৃত কারণ জানা গিয়েছে বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।