হাতের মুঠোয় চিন। নাগালের মধ্যে ইউরোপের একাংশ। তাও যে সে কোনও অস্ত্র নয়, ꩵএকেবারে ভারতের পরমাণু অস্ত্রের নাগালের মধ্যে চলে এসেছে ওইসব জায়গা। শুধু তাই নয়, চাইলে একটাই মিসাইল ছুড়ে ভারত ওরকম দূরত্বের বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালাতে পারে। আর 🉐সেটা গর্ব করে ভারত বলতে পারবে সোমবারের পর থেকে। কারণ সোমবার মাল্টিপল ইন্ডিপেনডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেল প্রযুক্তির (MIRV) মাধ্যমে অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উড়ানে সাফল্য মিলেছে। যে প্রযুক্তি অত্যাধুনিক। বিশ্বের গুটিকয়েক দেশের হাতেই সেই প্রযুক্তি আছে।
আর সেই পরীক্ষামূলক উড়ানের পরে মার্ভ প্রযুক্তি-নির্ভর অগ্নি-৫ মিসাইলের যে ছবি প্রকাশ করেছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও), তাতে সাধারণ মিসাইলের সঙ্গে ফারাকটা স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। সাধারণ অগ্নি-৫ ক্ষেপণাস্ত্রের মুখটা ছুঁচা🍌লো। সেখানে মার্ভ প্রযুক্তি-নির্ভর অগ্নি-৫ মিসাইলের মুখটা দেখলে মনে হবে যে তুবড়ে আছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, একাধিক অস্ত্র যাতে রাখা যায়, সেজন্য ওরকমভাবে মার্ভ প্রযুক্তি-নির্ভর অগ্নি-৫ মিসাইল🌌 তৈরি করা হয়েছে। যে অগ্নি-৫ মিসাইল প্রায় ৫,০০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।
MIRV প্রযুক্তি আদতে কী?
সাধারণ মিসাইলের থেকে অনেক বেশি ধ্ব🔯ংসলীলা চালাতে পারে মার্ভ প্রযুক্তি-নির্ভর🅘 ক্ষেপণাস্ত্র। কারণ সাধারণত কোনও মিসাইলের মাধ্যমে একটি জায়গায় হামলা চালানো হয়। কিন্তু 'মাল্টিপল ইন্ডিপেনডেন্টলি টার্গেটেবল রি-এন্ট্রি ভেহিকেল'-র মাধ্যমে একটি মিসাইল ছুড়ে একইসঙ্গে একাধিক জায়গায় চালানো যায়।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ব্যালিস্টিক মিসাইল উৎক্ষেপণ করা অত্যন্ত কঠিন কাজ। এতদ⭕িন প্রতিটি ‘টার্গেট’-র জন্য এ✃কটি করে মিসাইল ছুড়তে হয়। এখন সেটা করতে হবে না। বরং একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে অনেক জায়গায় হামলা চালানো যাবে। যে প্রযুক্তি ভূ-আঞ্চলিক রাজনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সেই প্রযুক্তির মাধ্যমের চিন এবং পাকিস্তানকে একটা স্পষ্ট বার্তা দেওয়া গেল।
এমনিতে ২০০৩ সালে গৃহীত নয়াদিল্লির নীতি অনুযায়ী, ভারতের কখনও প্রথমে কারও উপর পরমাণু হামলা চালায় না। কিন্তু কেউ যদি ভারত বা ভারতীয় বাহিনীর উপর পরমাণু হামলা চালায়, তার যোগ্য জবাব দেওয়া হবে।🎉 সেই পরিস্থিতিতে এবার চিন এবং পাকিস্তান যে ভারতকে আরও সমঝে চলবে, তা নিয়ে কোনও🍎 সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের।
সেই পরিস্থিতিতে ডিআরডিওয়ের বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কৌশলগত বিষয়ের বিশেষজ্ঞ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ডিএস হুডা (অবসরপ্রাপ্ত) বলেন, ‘আমরা প্রায়শই ডিআরডিওয়ের সমালোচনা করে থাকি। কিন্তু যে জায়গ♏ায় ডিআরডিও ব্যাপক উন্নতি করেছে, সেটা হল ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তিতে। আমরা দেখছি যে নিজেদের অস্ত্রভাণ্ডারে পরমাণু অস্ত্রের সংখ্যা বাড়াচ্ছে। কৌশলগত কারণে আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে আমরা যেন পিছিয়ে না পড়ি।'
আরও পড়ুন: CAA Application Fees: ১০০ টাকায় নাগরিকত্ব! আবেদন করবেন কো🔯থায়? আর কত 𒊎খরচ? না জানলে বড় মিস