বাড়ি, গাড়ি, মোটরবাইক, টিভি, ফ্রিজ, মোবাইলের মতো জিনিস এখন সহজেই EMI-তে পাওয়া যায়। কিন্তু ঘুঁটে, আমের পাতা, বেল পাতা ইত্যাদিও EMI-তে? আজ্ঞে হ্যাঁ, এটাই বাস্তব। আম পাতা, ঘুঁটে, বেল পাতা এখন অনলাইনে দেদার বিক্রি হচ্ছে অ্যামাজনে। মিলছে ইএমআই অপশনও।কিন্তু কারা কেনেন এগুলো?বেঙ্গালুরুর আইটি কর্মী সৌমাশ্রী মিত্র এমনই একজন ক্রেতা। তিনি জানান, হুগলির গ্রামাঞ্চলেই বড় হয়েছেন। সেখানে বেলপাতা, নারকেলের ছোবড়া, ঘুঁটে অনলাইনে কেনার কথা আমিও ভাবতেই পারতাম না।২ বছর আগে কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরু এসেই অবশ্যই ভাবনা বদলে যায় তাঁর। সৌমাশ্রী জানিয়েছেন, 'এখানে এসেই দেখলাম কাছেপিঠে একটাও ভালো পুজোর সামগ্রীর দোকান নেই। আর থাকলেও তাতে আকাশছোঁয়া দাম। আর অত দূরে গিয়ে কেনাকাটার সময়ও নেই। ফলে অনলাইনে কেনা শুরু করলাম।' এখন অনলাইনেই এই ধরনের জিনিস কেনেন বলে জানিয়েছে আইটি কর্মী।কিছুটা একই কথা জানালেন মুম্বইয়ের এক প্রযোজনা সংস্থায় কর্মরত শ্রেষ্ঠ মুখোপাধ্যায়। বর্ধমানে থাকতেন তিনি। 'বেশিরভাগ সময়েই নিজেই ভাবি, কেন কিনছি এত দাম দিয়ে,' জানান বছর ৩০-এর যুবক। মানিপ্ল্যান্টের মতো সাধারণ গাছ, যা কিনা কাটিং বসালেই হয়ে যায়, সেটাও মোটা টাকায় অনলাইনে কিনেছেন তিনি। 'মনস্টেরা গাছের এখন বাজারে ভীষণ কদর। একটা পাতাসহ চারার দামই অনলাইনে ১-২ হাজার টাকা। এদিকে একসময়ে লোকের বাড়ির পাঁচিলেই কত দেখতে পেতাম।'তবে অনলাইনে কেনেন কেন? শ্রেষ্ঠ জানান, উপায় নেই। তিনি বলেন, 'মুম্বইয়ের মতো শহরে যাঁরা টুকটাক ইন্ডোর প্লান্ট করেন, তাঁরাও মোটা টাকা দিয়ে কিনে নেন। ফলে তাঁদের থেকে বিনামূল্যে কাটিং চাওয়াটাও ঠিক নয়। আর বর্ধমানের মতো এখানে যেখান সেখান থেকে গাছের ডাল কেটে নিয়ে আসা যায় না। ফলে অনলাইনই উপায়।' তবে অনলাইনে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গাছের মান খুব খারাপ হয় বলে জানিয়েছেন শ্রেষ্ঠ। একই অভিযোগ বিভিন্ন ই-কমার্স সাইটের রিভিউ বক্সেও।তাহলে এবার বুঝলেন তো? কারা এত টাকা দিয়ে আপাতভাবে সামান্য জিনিসগুলি কেনেন?