অস্মিতা রবি শঙ্কর
দিল্লিতে গেরুয়া ঝড়। উড়ে গেল আপ। দিল্লিতে দীর্ঘদিন পরে ক্ষমতায় ফিরল বিজেপি। নয় নয় করে একেবারে ২৭ বছর। সেই ২৭ বছরের বিরতির পর দিল্লিতে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। তাদের গ্রেটার কৈলাস প্রার্থী শিখা রায় আম আদমি পার্টির নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ꧂কে পরাজিত করেছেন। ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, শিখা রায় ৩,১৮৮ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন।
শিখা রায় সম্পর্কে ৫টি বিষয় জেনে নিন
- ৬০ বছর বয়সি শিখা রায় বিজেপির চমকপ্রদ প্রার্থী ছিলেন কারণ তিনি মাত্র দু'বারের কাউন্সিলর, আপের পোড়খাওয়া নেতা সৌরভ ভরদ্বাজের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
- শিখা রায় পেশায় একজন আইনজীবী, মাই নেতা পোর্টালে এই তথ্য জানা গিয়েছে।
- তিনি পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের লুধিয়ানার সরকারি কলেজ থেকে কলা (এমএ) এবং চণ্ডীগড়ের আইন বিভাগ, পিইউ থেকে এলএলবি করেছেন।
- মাইনেতা পোর্টাল অনুসারে, তার ১৬ কোটি টাকারও বেশি সম্পত্তি এবং ৩ কোটি টাকারও বেশি দায়বদ্ধতা রয়েছে।
- গ্রেটার কৈলাস বিধানসভা কেন্দ্র থেকে শিখা রায় ২০২৫ সালের দিল্লি নির্বাচনে আপের সৌরভ ভরদ্বাজ এবং কংগ্রেসের গারভিত সিংভির বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলেন।
✅নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, দুপুর ২টো ৫ মিনিট পর্যন্ত ৩৯টি আসনে এগিয়ে বিজেপি। এদিকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টি ১৩টি আসনে এগিয়ে রয়েছে ৯টি আসনে।
꧋জাতীয় রাজধানীর ৭০ সদস্যের বিধানসভার জন্য ভোট ৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল, ভারতের নির্বাচন কমিশন হিসাবে আনুমানিক ৬০.৫৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
ꩲদিল্লি নির্বাচনের এক্সিট পোল রাজধানীতে বিজেপির বড় জয়ের পূর্বাভাস দিয়েছে। অ্যাক্সিস মাই ইন্ডিয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ সমীক্ষকরা গেরুয়া শিবিরের ৪৫-৫৫ আসন জয়ের পূর্বাভাস দিয়েছে, আপ ১৫-২৫টি আসন পাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে।
☂অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন দলের জন্য ১০-১৮টি আসন পাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে পিপলস পালস ৫১-৬০টি আসন নিয়ে বিজেপিকে আরও উঁচুতে রেখেছে।
𓄧এদিকে পরাজিত হওয়ার পরে কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, 'জনতার যে রায় তা বিনম্রতার সঙ্গে স্বীকার করছি। জনতার রায় মাথা পেতে নিলাম। বিজেপিকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। যে বিশ্বাস নিয়ে বিজেপিকে মানুষ ভোট দিয়েছেন আমাদের আশা তা তাঁরা পূরণ করবেন। গত দশ বছরে আমরা যে সুযোগ পেয়েছিলাম তাতে অনেক কাজ করেছিলাম। শিক্ষা ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে। জল- বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও অনেক কাজ করেছিলাম। অনেক বিষয়ে আমরা দিল্লিবাসীর স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম।