বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালকের দায়িত্বে হাসিনার কন্যা। এ যেন এক নতুন পালক যুক্ত হল বাংলাদেশের প্রশাসনিক ইতিহাসে। গত বছরই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নির্বাচিত হন শেখ হাসিনার কন্যা সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনও ব্যক্তি এই দায়িত্ব পালন করতে চলেছেন। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের তরফ থেকে বিশেষ শুভেচ্ছা জানান হয়েছে সায়েমাকে। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডক্টর সামন্তলাল সেন। তিনি জানান, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসে একটা নতুন ইতিহাস রচিত হল। এই প্রথম কোনও বাংলাদেশির বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতন এত গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠানে এইরকম দায়িত্বশীল এবং সম্মানজনক পদে দায়িত্ব পেলেন। এই প্রাপ্তিতে বাংলাদেশের সম্মান এবং মর্যাদা বহু গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।'দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার পরিচালক হিসাবে সায়েমা এই দায়িত্ব পেলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরেই স্বাস্থ্য বিষয় কাজ করে আসছেন। তিনি একজন অটিজম বিশেষজ্ঞ এবং সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। আগামী ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পরিচালক হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন সায়েমা। হাসিনা কন্যার এই নতুন দায়িত্ব গ্রহণের প্রাক্কালে সায়েমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ডাব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাস। তিনি বলেন, 'দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সদস্য রাষ্ট্রগুলি এবং নির্বাহী বোর্ডের আস্থা এবং বিশ্বাস রয়েছে সায়মার ওপর। আমিও তাঁর সঙ্গে কাজ করার জন্য উন্মুখ।'প্রসঙ্গত, গত ১ নভেম্বর নয়াদিল্লিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক কমিটির ৭৬তম অধিবেশনে আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হন পরমাণু বিজ্ঞানী ড.ওয়াজেদ মিয়া এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল। সায়েমার এই নতুন দায়িত্ব প্রাপ্তির পর উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের একাংশ নাগরিক প্রসঙ্গত এর আগে ২০১৭ সালে সায়েমাকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অটিজমের জন্য ডাব্লিউএইচও চ্যাম্পিয়ন হিসাবে মনোনীত করেছিল। ২০১৬-এর নভেম্বরে ওয়াজেদ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ডিজিটাল ক্ষমতায়নের জন্য ইউনেস্কোর আন্তর্জাতিক জুরিবোর্ড সভার চেয়ারপারর্সন নির্বাচিত হয়েছিলেন। এখন দেখার নতুন দায়িত্বে কতটা সপ্রতিভ হয়ে ওঠেন সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল।