মৃত্যুর হার কমাতে ব্যর্থ হওয়ায় করোনা রোগীদের উপরে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং এইডস-এর ওষুধ লোপিনাভির বা রাইটোনাভির-এর যৌথ পরীক্ষামূলক প্রয়োগ বন্ধ রাখার সি🍸দ্ধান্ত নিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
শনিবার এই ঘোষণা করার আগে মাত্র একদিনে বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়🐬িয়ে গিয়ে নতুন রেকর্ড তৈরি করে। এর মধ্যে শুক্রবার শুধু আমেরিকাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ৫৩,২১৩ জন।⛎
গতকাল এক বিবৃতিতে WHO জানিয়েছে, ‘অন্ত💃র্বর্তী পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, হাসপাতালে ভরতি থাকা করোনা রোগীদের মৃত্যুহার ঠেকাতে ব্যর্থ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং লোপিনাভির বা রাইটোনাভির-এর যোথ প্রয়োগ। ট্রায়াল পর্যবেক্ষকরা অবিলম্বে এই 🧜পরীক্ষা বন্ধ করতে পদক্ষেপ করবেন।’
তবে WHO জানিয়েছে, ট্রায়ালের আন্তর্জাতিক স্টিয়ারি কমিটির🐲 সুপারিশে পরীক্ষা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও ওই ওষুধগুলি নিয়ে অন্যান্য পরীক্ষা তাতে ব্যাহত হবে না।
উল্লেখ্য, WHO পরিচালিত অন্য এক ট্রায়ালে করোনা সংক্রমণের চিকিৎসায় আমেরিকার জিলিড সংস্থার তৈরি ওষুধ রেমডেসিভার প্রয়োগের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। হাসপাতালে বরতি করোনা রোগীদের আরোগ্যলাভ ত্বরান্বিত করার বিষয়ে তার সদর্থক ভূমিকা প্রমাণিত হওয়ায় রেমডেসিভার-কে শর⛎্ত সাপেক্ষে গত শুক্রবার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
করোনার ওষুধ আবিষ্কারে🌠র লক্ষ্যে পাঁচটি চিকিৎসা শাখার পরীক্ষা শুরু করে WHO, যার মধ্যে রয়েছে রেমডেসিভার, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, লোপিনাভির বা রাইটোনাভির এবং প্রথম দুই ওষুধের সহ্গে লোপিনাভির বা রাইটোনাভিরের যৌথ প্রয়োগ। শুক্রবার সংস্থার ডিজি তেদ্রোস আধানোম ঘেব্রেইয়েসাস সাংবাদিকদের জানান, ৩৯ দেশের প্রায় ৫,৫০০ রোগীকে ✅এই পাঁচ চিকিৎসা শাখার পরীক্ষার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, Covid-19 নিরাময়ের লক্ষ্যে বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৫০ ভ্যাক্সিন আ🎀পাতত পরীক্ষ♋ার পর্যায়ে রয়েছে।
WHO-এর শীর্ষস্থানীয় এমার্জেন্সিস এক্সপার্ট মাইক রায়ান জানিয়েছেন, কোন ভ্যাক্সিন এর মধ্যে সকলের আগে তৈরি হবে, তা বলা কঠিন। বছরের শেষে যদি কোনও একটি ভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়, সে ক্ষেত্রে প্রশ্ন থাকবে কবে তা সাধারণের ব্যবহারোপযো🔜গী করা সম্ভব হবে।