দেশের সর্বমোট মুদ্রাস্ফীতির হার ১২.৯৬ শতাংশতে। গত মাসেই সেই হার ছিল ১৩.৫৬ শতাংশ। সোমবারের সরকারি তথ্যতে এমনটাই জানা গিয়েছে। এদিকে হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স বা পাইকারি মূল্য়ের সূচক অনুসারে মুদ্রাস্ফীতি হারে দেখা যাচ্ছে ২০২১ সালের নভেম্বরে শতকরা হার ছিল ১৪.৮৭ শতাংশ, ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে শতকরা হার ছিল ১৩.৫৬ শতাংশ ও ২০২২সালের জানুয়ারি মাসে সেই হার দাঁড়িয়েছে ১২.৯৬ শতাংশে। আর মুদ্রাস্ফীতির এই পরিস্থিতি অর্থনৈতিক পলিসি প্রণেতাদের কাছেও মাথাব্য়াথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, খনিজ তেল, ক্রুড পেট্রলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস, ধাতব জিনিস, কেমিক্যাল, কেমিক্যাল প্রোডাক্ট, খাদ্য় সামগ্রীর দাম গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। যার জেরেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। পাইকারি বাজারেও কিছু খাদ্য সামগ্রীর দাম হু হু করে বেড়েছে। WPI Food Indexয়ে দেখা যাচ্ছে ২০২১এর ডিসেম্বর মাসে ছিল ৯.২৪ শতাংশ ও ২০২২ সালের জানুয়ারি তা দাঁড়ায় ৯.৫৫ শতাংশ। খনিজ সামগ্রীর দাম ১১.০৮ শতাংশ বেড়েছে। নন ফুড আর্টিকেল গত ডিসেম্বরের তুলনায় ০.৩৭ শতাংশ বেড়েছে এবারের জানুয়ারিতে। এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ২০২০ সালের ঠিক এই দিনেই মুদ্রাস্ফীতির হার মারাত্মকভাবে বেড়ে গিয়েছিল।