একটি মহলে জল্পনা চলছে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই উঠে যাবে নিষেধাজ্ঞা। তারপর স্বমহিমায় ফিরে আসবে টিকটক-সহ ৫৯ টি অ্যাপ। কিন্তু সেই জল্পনায় পুরোপুরি জল ঢাললেন আইন বিশেষজ্ঞরা।ভারতে যে ৫৯ টি অ্যাপের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে, সেই চিনা অ্যাপগুলির বিরুদ্ধে রাজস্থান হাইকোর্টে ক্যাভেট দাখিল করেছে কেন্দ্র। রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল রাজদীপক রাস্তোগি হাইকোর্টে যে ক্যাভেট দাখিল করেছেন, তাতে বলা হয়েছে, ‘বিষয়টিতে আবেদনকারীর (সরকার) সওয়াল না শোনা পর্যন্ত কিছু না করা হোক।’আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্যাভেট দাখিল করা থেকেই স্পষ্ট যে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের নির্দেশিকার বিরুদ্ধে এক বা একাধিক সংস্থা মামলা দায়ের করার বিষয়টি নিয়ে প্রস্তুতি সেরে রাখছে কেন্দ্র। শুধু তাই নয়, রয়টার্স আরও জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞার নির্দেশিকায় স্থগিতাদেশের জন্য ‘ইনজাকশন’ পাওয়ার পথও বন্ধ করা হয়েছে। ‘ইনজাকশন’ একটি বিচারবিভাগীয় আদেশ যা একজন ব্যক্তিকে অন্যের আইনি অধিকার লঙঘন বা তাতে হস্তক্ষেপ থেকে আটকায়।ক্যাভেটে এবং অ্যাপ ব্যানের পুরো বিষষটি নিয়ে আইনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছে 'হিন্দুস্তান টাইমস'। তাঁরা কী বলেছেন, দেখে নিন -ক্যাভেটের অর্থ হল অ্যাপ ব্যানের বিরুদ্ধে কোনও একটি সংস্থা যদি কোনও আদালতের (এক্ষেত্রে রাজস্থান আদালত) দ্বারস্থ হয়, তাহলে সরকারকে আগেভাগে জানাতে হবে। দু'পক্ষের উপস্থিতি ছাড়া মামলার শুনানি হবে না। আইনজীবীদের বক্তব্য, আদালতে উপযুক্ত আইনি প্রতিনিধিত্ব ছাড়া শুনানি হবে না। অর্থাৎ সরকারের বক্তব্য ছাড়াই সংস্থাগুলি নিজেদের পক্ষে যে রায় পাবে, সেই পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।তবে এখনও আদালতে যেতে পারে সংশ্লিষ্ট অ্যাপ সংস্থাগুলি। কিন্তু রাজস্থান হাইকোর্টে সংস্থাগুলি আবেদন দাখিল করলেও সরকারের প্রতিনিধির উপস্থিতি ছাড়া শুনানির একচুলও এগোবে না। একইভাবে দেশের অন্যান্য আদালতেও ক্যাভেট দাখিল করতে পারে সরকার।বিশেষজ্ঞদের মতে, আদালতে শুনানি হলেও অ্যাপ সংস্থাগুলির ব্যান ওঠা এত সহজ নয়। কারণ নিষেধাজ্ঞা চাপানোর সময় জাতীয় নিরাপত্তার কারণ দেখানো হয়েছে। তাই সেই মামলাটি খুব দ্রুত মিটবে না। সবমিলিয়ে খুব তাড়াতাড়ি যে ৫৯ টি অ্যাপের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠছে না, সেই দেওয়াল লিখনটা স্পষ্ট।