এখনও ভারতে ‘ওমিক্রন’-এর হদিশ মেলেনি। তবে ইতিমধ্যে করোনাভাইরাসের সেই নয়া প্রজাতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়তে শুরু করেছে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, ‘ওমিক্রন’-এর বিরুদ্ধে কতটা কার্যকরী হবে কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন (ভারতে সবথেকে ব্যবহৃত দুই করোনা টিকা)?আপাতত সেই বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির করোনাভাইরাস নিয়ে আপাতত যে তথ্য আছে, তার ভিত্তিতে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) মহামারীবিদ্যা এবং সংক্রামক রোগ বিভাগের প্রধান সমীরণ পন্ডা জানিয়েছেন, এমআরএনএ টিকাগুলি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে কার্যকরী নাও হতে পারে। বিষযটি ব্যাখ্যা করে তিনি জানিয়েছেন, স্পাইক প্রোটিন এবং রিসেপ্টরের ইন্টার-অ্যাকশন কেন্দ্রিক হয়ে থাকে এমআরএনএ টিকাগুলি। তাই ‘ওমিক্রন’-এর ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে পরিবর্তন দেখা গিয়েছে, সেই মোতাবেক ওই এমআরএনএ টিকাগুলির পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু সব টিকা একরকমের হয় না। কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিন ভিন্নভাবে মানবদেহে রোগ প্রতিরোধকারী ব্যবস্থা গড়ে তোলে। এমনিতে শুক্রবারই নয়া বি.১.১.৫২৯ প্রজাতিকে 'উদ্বেগজনক' হিসেবে চিহ্নিত করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। বিশ্বের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছে, গত ২৪ (বুধবার) দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে প্রথম বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির করোনার প্রথম যে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল গত ৯ নভেম্বর। যে প্রজাতির একাধিকবার মিউটেশন (জিনগত পরিবর্তন) হয়েছে। কয়েকটি মিউটেশন তো উদ্বেগজনক। প্রাথমিকভাবে যে তথ্য মিলেছে, তাতে জানা গিয়েছে যে অন্যান্য 'উদ্বেগজনক' বা ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্নের’ থেকে বি.১.১.৫২৯ প্রজাতির ক্ষেত্রে পুনরায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তারইমধ্যে গত দক্ষিণ আফ্রিকার সব প্রদেশেই আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।