গত দুমাসে নেকড়ের হানায় অন্তত আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এরপরই উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ জেলায় শুরু হয়েছে অপারেশন ভেড়িয়া। মূলত সেই নেকড়ে বাঘগুলিকে ধরার জন্যই এই অ🀅ভিযান।
সূত্রের খবর ইতিমধ্য়েই চারটি নেকড়েকে ধরা সম্ভব হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এদিকে গত কয়েকদিনে এই নেকড়ের 🤪হানায় সাতটি শিশুর মৃত্যু হয়🌄েছে। একজন মহিলাও মারা গিয়েছেন এই নেকড়ের আক্রমণে। একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন এই নেকড়ের হানায়।
স্থানীয় এক ব্যক্তি ও একটি শিশুর উপর সম্প্রতি আক্রমণ চালিয়েছিল নেকড়ের দল। সেই 🎶সময় তারা আহত হয়েছিল। ওই শিশুর কাকা জানিয়েছিলেন, আমি শিশুটির কাকা। রাত দেড়টা নাগাদ শিশুর উপর হামলা চালিয়েছিল নেকড়েটি। এরপর সকলে মিলে আতঙ্কে চিৎকা𝕴র করে উঠলে তাকে ছেড়ে পালিয়ে যায় নেকড়েগুলো।
এদিকে বাড়ির লোকজন নেকড়েটিকে তাড়া করেছিল। কিন্তু সেটা আখের ক্ষেতে ঢুকে পড়েছিল। ঘরে তার পায়ের ছাপ মিলেছে। অপর এক ব্যক্তিও ♍তার হাড়হিম অভিজ্ঞত⭕ার কথা জানিয়েছেন।
ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, ভোর চারটে নাগাদ নেকড়ের দল আমার উ▨পর আক্রমণ করেছিল। একেবারে আমার ঘাড়ের উপর লাফিয়ে পড়েছিল। শেয়ালের থেকে অনেকটা বড়। আমি প্রথমে জন্তুটাকে বুঝতে পারিনি। সেই সময় নার্ভাস হয়ে গিয়েছিলাম। সেকারণে বুঝতে পারিনি জন্তুটা ঠিক কেমন। আমি যদি তার মুখটা চেপে না ধরতাম ওটা ঠিক༒ আমায় মেরে ফেলত।
মহষি সিভিল হেলথ সেন্টারের ইন চার্জ ডাঃ আশিস ♕ভা🦂র্মা জানিয়েছেন, দুজনের শরীরেই আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। একজন রাত দুটোর সময় এসেছিলেন। অপরজন ভোর ৫টার সময় এসেছিল। তবে তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল না। রোগীরা বলছিল এটা নেকড়ের আক্রমণ। তবে আসলে এটা কী ধরনের জন্তু সেটা বনদফতর ঠিকঠাক করে বলতে পারবে।
এদিকে সেটা আসলে কী ধরনের জন্তু সেটা নিশ্চিত হওয়ার জন্য বনদফতর ড্রোনের সহায়তা নিচ্ছে। সেই ড্রোনের মাধ্যমে বনদফতর মোটামুটি🎃 নিশ্চিত হতে পেরেছে যে এগুলি আসলে নেকড়ে। দুটি নেকড়ের উপস্থিতি তারা চিহ্নিত করতে পেরেছে।
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন এলাকায় ড্রোন দিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। সেই সঙ্গেই বিভিন্ন জায়গায় নেকড়ে ধরার জন্য জাল ও ফাঁদ পাতা হয়েছে। দ্রুত নেকড়ে গুলিকে๊ পাকড়াও করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আর কোনও নেকড়ে লোকালয় সংলগ্ন এলাকায় ঘুরছে কি না সেটা দেখা হচ্ছে।