নাতনির বয়স নাকি ৩৫ বছর, এত বছর ধরে কেন নিজের নাতনিকে লুকিয়ে রেখেছেন ল্যাম্বরগিনি স্পোর্টস কারের মালিক! ইতালির এক মহিলা দাবি করেছেন যে তিনিই সেই গোপন নাতনি। তাঁর 🦩নাম হল ফ্লাভিয়া বোরজোন। নেপলসের একজন বিউটিশিয়ান হিসাবে কাজ করেন তিনি। এই দাবির ডিএনএ প্রমাণও রয়েছে তাঁর কাছে বলে জানিয়েছেন এক সাক্ষা♐ৎকারে।
মিসেস বোরজোন বলেছেন যে তিনি একটি প্রাইভেট গোয়েন্দাকে নিয়োগ করেছিলেন এই বিষয়টির তদন্ত করার জন্য। ওই গোয়েন্দা ল্যাম্বরগিনি স্পোর্টস কা🉐রের মালিকের মেয়ে এলেট্রার ব্যবহৃত একটি স্ট্র নিয়ে এসে বোজানের সঙ্গে মিলিয়ে দেখেছেন তাঁরা জিনগতভাবে ম্যাচ করছেন। এখানেই প্রমাণ হয়ে যায় যে তাঁরা দুজনেই বোন।বোলোগনায় দায়ের করা একটি আদালতের মামলা থেকে জানা গিয়েছে, মামলায় ওই মহিলা দাবি করেছিলেন যে ডিএনএ নমুনাটি ফেরারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা করা করার পর বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন যে জেনেটিক নমুনা প্রমাণ করে দেয় বোরজোন এবং ইলেট্রার মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে।
এদিন কোর্টে মিসেস ব🍬োরজোন আদালতকে বলেছেন, 'আমি কাউকে অসন্তুষ্ট করতে চাই না, আমি শুধু জানতে চাই আমি কার মেয়ে।'
৩৫ বছর বয়সী আরও অভিযোগ করেছেন যে টনিনো ল্যাম্বরগিনি, যাঁর বাবা ১৯৬৩ সালে বিলাসবহুল গাড়ির ব্যবসা শুরু করেছিল🌟েন। ১৯৮০ তাঁর সঙ্গেই ওই মহিলার মা রোসালবা কলোসিমোর দেখা গিয়েছিল একটি বাসস্ট🐠পে। মিঃ ল্যাম্বরগিনি তখন গাড়ি চালাচ্ছিলেন। হঠাৎই লক্ষ্য করলেন যে এক তরুণী বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। তাঁর মা এরপর ল্যাম্বরগিনির থেকে লিফট নেন। তারপরে যথারীতি দুজনের মধ্যে সুন্দর একটি সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ১৯৮৮ সালে মিসেস বোরজোনের জন্ম হয়।
যদিও, মিস্টার ল্যাম্বরঘিনি অস্বীকার করেছেন যে মিসেস বোরজোন তাঁর মেয়ে। ঘটনাটি অস্বীকার করার পর বোরজান ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে পাল্টা মানহানির মামলাও করা হয়েছে বলে খবর। কিন্তু তাঁর আইনজীবী দাবি করেছে🥃ন যে মিসেস মিস বোরজোনের রেকর্ড করা কথোপকথনে মিঃ ল্যাম্বরগিনি 'কলোসিমোর সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কথা স্বীকার করেছেন' । তাই সবদিক থেকে প্রমাণ রয়েছে যে ল্যাম্বরগিনির মালিকের নাতনি হলেন মিসেস বোরজান।
কিন্তু আর্থিক কারণে মামলাটি আর এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন না মিসেস বোরজোন। বোরজানের মা মিসেস কলোসিমোর কথায়, 'আমার মেয়ে টাকা চায় না, সে শুধু সত্য চায়। যদি🐭 টাকার ব্যাপারই হত, তাহলে ফ্লাভিয়ার দুই বছর বয়সেই আমি এই সব করতাম।'