প্রেমিকের সঙ্গে তিনি নাকি লুকোচুরি খেলছিলেন। আর, সেই খেলা খেলতে খেলতেই তাঁকে সুটকেসে ঢুকিয়ে সেই সুটকেসের চেন টেনে বন্ধ ♒করে দেন প্রেমিকা! তারপর সেখান চলে যান!
এর ফল যা হওয়ার সেটাই হয়। দম বন্ধ হয়ে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারাতে হয় প্রেমিককে। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাস♔ে এই উদ্ভট এবং নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছিল আমেরিকার ফ্রোরিডায়।
যে মহিলা এভা🐼বে তার প্রেমিককে খুন করে, তার নাম সারা সারা বুন। তার হাতে খুন হতে হয় তারই প্রেমিক জর্জেস টরেস জু🍌নিয়রকে। শুক্রবার এই ঘটনায় সারাকে দোষী সাব্যস্ত করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের জুরি সদস্যরা। সারার বিরুদ্ধে সেকেন্ড ডিগ্রি খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
মার্কিন বিভিন্ন সংবাদপত্রে এই ঘটনা এবং মামলার নানা তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। সেই অনুসারে, সারার বর্তমা🌳ন বয়স ৪৭ বছর। প্রাথমিকভাবে তার দাবি ছিল, ওই ঘটনার সময় সে ও তার প্রেমিক দু'জন✃ই মদ্যপ ছিল।
প্রাথমিকভাবে সারা অরেঞ্জ কাউন্টির শেরিফকে জানিয়েছিল, তারা মজা করে লুকোচুরি খেলছিল। সেই সময় ♊সারার প্রেমিক নিজেই সুটকেসের ভিতর ঢুকে যান। এবং সারাও সেই সুটকেসের চেন আটকে দেয়।
যদিও পরবর্তীকালে সারা জানায়, তার প্রেমিক তার উপর অত্যাচার করত। তাই তিনি যখন সুটকেসে বন্দি হয়ে যান, তখন সারা ঠিক করে ওই অ♓বস্থাতেই প্রেমিকের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করবে!
সেই সময় সারার প্রেমিক নাকি সুটকেসের ভিতর বন্দি অবস্থাতেই তার সঙ্গে ঝগড়া করতে শুরু করেন।ꩵ তাতে সারা ভয় পেয়ে যায় বলে দাবি ☂করে।
তার সাফাই ছিল, প্রেমিক সুটকেসের বাইরে বেরোলেই তাকে মারধর করতে পার🌺েন, এই ভয়েই সে আর তাঁকে সুটকেস থেকে বের করেনি। বদলে সেখান থেকে চলে গিয়েছে। পরদিন সকালে সারা সেই সুটকেসের চেন খুলে দেখে, তার প্রেমিক তার মধ্যে মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন!
যদিও আদালতে সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করা হয়। যেটি সারার ফোন থেꦚকেই রেকর্ড করা হয়েছিল। তাতে সারার নৃশংস আচরণ সকলকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে।
ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, সারার প্রেমিক সুটকেস থেকে বের হওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করতেই সারা তাঁর হাতে বেস বলের ব্যাট দিয়ে সজোরে মারে। এবং প্রেমিকের হা⛦ত জোর করে সুটকেসের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়ে হাসতে থাকে!
ওই ভিডিয়োয় সারার প্♓রেমিকের আর্ত চিৎকারও শোনা গিয়ে꧑ছে। তিনি চিৎকার করে বলতে থাকেন, শ্বাস নিতে পারছেন না। কিন্তু, সারা তা শুনেও হাসতে থাকে!
শুক্রবার আদালতের রায়ে সারা বুন 'হতবাক' হলেও তার নিহত প্রেমিকের পরিবারের সদস্যরা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। তাঁরা সংবাদমাধ্যমের 𒅌সঙ্গে কথা বলতে রাজি হননি।