দোল পূর্ণিমার রাতে একেবারে থালার মতো চাঁদ দেখতে অপেক্ষা করে আছেন অনেকেই। যা প্রতি পূর্ণিমার রাতেই দেখা যায়। তবꦚে এবার পূর্ণিমায় যে চাঁদ দেখা যাবে, তার বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে। আজ যে চাঁদ দেখা যাবে, তাকে ‘Worm Moon’ বলা যায়। সেই নামকরণের পিছনে লুকিয়ে আছে অষ্টাদশ শতাব্দীর কাহিনি। ওই কাহিনি অনুযায়ী, শীতকালের পর বসন্তের শুরুতে বিভিন্ন প্রাণী বেরিয়ে আসার জন্য আমেরিকার আদি জনজাতির মানুষ মার্চের ‘ফুল মুন’-কে 'Worm Moon' নাম দেওয়া হয়েছিল।&📖nbsp;
এমনিতে ২০২৩ সালে ১২ টির পরিবর্তে ১৩ টি 'ফুল মুন' দেখা যাবে। আগামী অগস্টে দুটি সুপারমুনের সাক্ষী থাকতে চলেছে পৃথিবী। সুপারমুন সাধারণত আরও উজ্জ্বল হয়। আকাশে চাঁদকে আরও বড় আকারে দেখতে পান মান꧙ুষ। সেইসময় পৃথিবীর থেকে কিছুটা কাছেও অবস্থান করে চাঁদ। দোল পূর্ণিমার রাতে যে চাঁদ দেখা যাবে, এমনিতে আর পাঁচটা ‘ফুল মুন’-র মতোই হবে। তবে ঐতিহাসিক দিক থেকে সেই চাঁদের বিশেষ গুরুত্ব আছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস প্রদানকারী বেসরকারি সংস্থা স্কাইমেটের তরফে জানানো হয়েছে, মার্চে উত্তর গোলার্ಞধে বসন্ত শুরু হয়। সেখানে দক্ষিণ গোলার্ধে শরৎকালের সূচনা হয়ে থাকে। উত্তর গোলার্ধের ক্ষেত্রে মার্চে যে পূর্ণিমার চাঁদ দেখা য꧑ায়, সেটিকে ‘Worm Moon’ বলা যায়। কারণ ওই সময় মাটি থেকে বেরিয়ে আসে বিভিন্ন রকমের কেঁচো। তাপমাত্রা কমে গেলে কেঁচো বেরিয়ে আসে। সেজন্যই মার্চের পূর্ণিমার চাঁদকে ‘Worm Moon’ বলা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: Amazing Photo:✅ চাঁদের আড়াল থেকে উঁকি পৃথিবীর! দুর্ধর্ষ ছবি পাঠাল দক্ষিণ কোরꩲিয়ার চন্দ্রযান
২০২৩ সালের কবে কবে কী ধরনের চাঁদ দেখা যাবে?
- ৬ এপ্রিল: পিঙ্ক মুন।
- ৫ মে: ফ্লাওয়ার মুন।
- ৩ জুন: স্ট্রবেরি মুন।
- ৩ জুলাই: বাক মুন।
- ১ অগস্ট: স্টাজেন মুন।
- ৩০ অগস্ট: ব্লু মুন।
- ২৯ সেপ্টেম্বর: হারভেস্ট মুন।
- ২৮ অক্টোবর: হান্টার্স মুন।
- ২৭ নভেম্বর: বেভার মুন।
- ২৬ ডিসেম্বর: কোল্ড মুন।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক )