কয়েকদ🐬িন আগেই কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। ৭৫ ঊর্ধ্ব নিয়মের ফেরে গদি খোয়াতে তাঁকে। এরপর সেরাজ্যের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হন বাসবরাজ বোম্মাই। আর কুর্সিতে বসেই নিজের পূর্বসূরিকে যোগ্য সম্মান জানাতে পূর্ণমন্ত্রীর সুবিধা দেওয়ার কথা জানান বাসবরাজ। তবে পালট♕া চিঠি দিয়ে সেই সুবিধা ফিরিয়ে নিতে বললেন ইয়েদুরাপ্পা। চিঠিতে লিখলেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যেটুকু প্রাপ্য, তাই যেন দেওয়া হয়।
গত শনিবার এক নির্দেশিকা জারি করে কর্ণাটক সরকারের তরফে জানানো হয়, বাসবরাদ বোম্মাই🔯 যতদিনন মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন, ততদিন পূর্ণমন্ত্রীর স❀ুযোগ, সুবিধা পাবেন ইয়েদুরাপ্পা। এমনকি কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত সরকারি বাসভবনেই ইয়েদুরাপ্পা থাকতে পারবেন এই নির্দেশিকা অনুযায়ী। তবে চিঠি লিখে ইয়েদুরাপ্পা বাসবরাজের কাছে আবেদন করেন, 'আমাকে শুধু সেই সুযোগ, সুবিধাটুকু দেওয়া হোক যা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রাপ্য। আমাকে ক্যাবিনেট ব়্যাঙ্ক দেওয়ার নির্দেশিকা প্রত্যাহার করুন।'
সাধারণত বিজেপিতে ৭৫ বছর বয়স পেরিয়ে গেলে নেতাদের রাজনীতি থেকে অবসর নিতে হয়। সেই জায়গায় ইয়েদুরাপ্পার মুখ্যমন🤪্ত্রিত্ব বিরল ঘটনা। ২০১৯ সালে কংগ্রেস-জেডিএস জোটের বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে এসে সরকার ফেলে নয়া সরকার গঠন করে বিজেপি। সেই দলত্যাগী বিধায়কদের গেরুয়া শিবিরের ট꧅ানার নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল ইয়েদুরাপ্পার। তাই সেই সময় তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হয়। পাশাপাশি জাতপাতের হিসেব নিকেশও ছিল উপনির্বাচনের আগে। তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বে কর্নাটক সরকার দু'বছর পূর্ণ করে। তারপরই তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর বাসবরাজকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেওয়া হলে তিনি জানান যে ইয়েদুরাপ্পার পরামর্শ নিয়ে কাজ করতে তাঁর কোনও অসুবিধে হবে না।