রবিবার ছিল বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। সেই দিনেই ২০২১-৩০ দশকের জন্য উত্তরপ্রদেশের নয়া জনসংখ্যা নীতি প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। জনসংখ্যা জনসংখ্যা বৃদ্ধি ঠেকাতে সচেতনতা গড়ে তোলার উপর জোর দিয়েছেন যোগী। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রএ কঠোর হওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। যা নিয়ে পবর্তীতে শুরু হতে পারে বিতর্ক বা রাজনৈতিক চাপানউতোর। জনসংখ্য়া নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ দুই সন্তানের পক্ষে সওয়াল করেছেন যোগী। পাশাবেশি দুই সন্তানের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছেন তিনি। যোগী জানান, জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২০২৬ সালের মধ্যে প্রতি হাজারে ২.১ এবং ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতি এক হাজারে ১.৯ করাই নয়া নীতির লক্ষ্য।নয়া জনসংখ্যা নীতি প্রকাশ করে আদিত্যনাথ বলেছেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধিউন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। যোগীর বলেন, 'বিশ্বে নানা সময়ে এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়েছে যে, জনসংখ্যা বৃদ্ধি উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে। গত চার দশক ধরে এই নিয়ে আলোচনা চলছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার দারিদ্র্যের সঙ্গেও জড়িয়ে। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের কথা বিবেচনা করেই ২০২১-৩০ জনসংখ্যা নীতি তৈরি হয়েছে।'শনিবারই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আইনি খসড়া জনগণের সামনে এনেছিল উত্তরপ্রদেশ সরকার। উত্তরপ্রদেশের নয়া জনসংখ্যা নীতির খসড়াতে দুই সন্তান নীতি কঠোরভাবে পালনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, দুইয়ের অধিক সন্তান হলে কোনও ব্যক্তি সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করতে পারবেন না, কোনও সরকারি ভর্তুকি পাবেন না, স্থানীয় কোনও নির্বাচনেও লড়তে পারবেন না। সরকারি চাকরি করাকালীন তৃতীয় সন্তান জন্ম নিলে চাকরি খোয়াতে হবে। কোনও প্রকল্পের সুবিধা দেওয়া হবে না।তাছাড়া বন্ধ্যাত্ব দূরীকরণ, প্রসবকালীন শিশু মৃত্যুর হার কমানো ও যথাযথ স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার দ্বারা জনসংখ্যায় স্থিতাবস্থা রক্ষার প্রচেষ্টার কথাও বলা হয়েছে জনসংখ্যা নীতিতে। এ ছাড়াও বয়স্কদের যত্নে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ১১ থেকে ১৯ বছর বয়সের ছেলেমেয়েদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টির দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের কথা হয়েছেনয়া নীতিতে।