উত্তর-পূর্ব দিল্লির গোকুলপুরি থানা এলাকায় খুনের ঘটনার কিনারা করল পুলিশ। ত্রিকোণ প্রেমের জেরে ভাগীরথী বিহারের কাছে বছর ২০ এর বাসিন্দা মাহিরকে হত্যা করা হয়েছিল। 🌄এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, তরুণীর সঙ্গে কথা কাটাকাটির জের ধরে মাহিরকে হত্যা করে অভিযুক্তরা। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে মূল অভিযুক্ত আরমান খান (১৮ဣ)।
আরও পড়ুন: বান্ধবীকে চেন দিয়ে বেঁধে, ব্লেড দিয়ে কেটে, জীবন্ত জ্বালিয়ে𓆉 দিল রূপান্তরকামী
উত্তর-পূর্ব দিল্লির ডিসিপি ডা: জয় টির্কি জানিয়েছেন, বুধবার রাত ৯টার দিকে ভাগীরথী বিহারের ১১ নম্বর রাস্তায় মাহিরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। দিল্লি সংলগ্ন গাজিয়াবাদের লোনির বাসিন্দা ছিলেন মাহির। জানা গিয়েছে, ইনস্টাগ্রামে প্রেমের সন্ধান করেছিল ধৃত তরুণ আরমান। এরপর ২১ বছর বয়সি তরুণীর সঙ্গে ইনস্টাগ্রামে আরমানের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। বেশ কয়েকবার তারা রেস্তোরাঁয় এক সঙ্গে দেখাও করে। কিন্তু, তাদের সম্পর্ক বেশিদিন স্থানী হয়নি। এরই মধ্যে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে ওই তরুণী আবার অন্য এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। তরুণীর নতুন প্রেমিকের না🤡ম হল মাহির। তখন ওই তরুণী আরমানকে উপেক্ষা করে মাহির সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন। কিন্তু, মাঝে মাঝে আরমানের সঙ্গে কথাও বলতেন।
কিন্তু, এরই মধ্যে ঘটে বিপত্তি। মাহির বিষয়টি জানতে পেরে আরমানকে মেয়েটির সঙ্গে কথা না বলার জন্য সতর্ক করে দেন। এই সময় আরমান কোনওভাবে মেয়েটির আইফোন কেড়ে নেয়। তখন মাহির বিষয়টি জানতে পেরে ক্🔯ষুব্ধ হয়ে আরমানকে মোবাইল ফেরত দিতে চাপ দিতে থাকে।
বুধবার সন্ধ্যায় আরমান মাহিরকে ভাগীরথী বিহারের ১১ নম্বর রাস্তায় ফোন করে মোবাইল ফেরত দেওয়ার কথা বলে। তখন মাহির ও আরমানের মধ্যে মারামারি হয়। এই সংঘর্ষে আরমান তার দুই সহযোগীকে নিয়ে মাহিরকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় পুলিশ আরমান এবং তার দুই বন্ধু- ফয়সাল এবং মহম🔥্মদ সমীরকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, মাহিরের শরীরে ৫৪ বার ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিস✅িটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করেছে। এছাড়া, ওই মহিলার বক্তব্য রেকর্ড করেছে পুলিশ। ধৃতদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। পুলিশ জানিয়েছে, অতি দ্রুততার সঙ্গে মামলায় চার্জশিট জমা দেওয়া হবে।