বাবা মায়ের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবেন না। প্রেমিককে এমনটাই জানিয়েছিলেন শিক্ষিকা। তাই বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় একেবারে স্কুলে ঢুকে পড়ুয়াদের সামনেই শিক্ষিকার গলায় ছুরির কোপ বসাল প্রেমিক। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে শিক্ষিকার।বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুর থা♈ঞ্জাভুরের একটি স্কুলে। এই ঘ♍টনায় স্কুলের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
আরও পড়ুন: যৌনাঙ্গ কেটে মুখে গুঁজে দেওয়া হল! উদ্ধার হꦫল শিক্ষকের মৃতদেহ,𝔉 তদন্তে পুলিশ
জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষিকার নাম এম রমাণী। তিনি মল্লিপট্টিনম সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অস্থায়ী তামিল শিক্ষিকা ছিলেন। এদিন সকাল ১০টার দিকে স্টাফ রুমের বাইরে তাঁর প্রেমিক পি মাধন ঘাড়ে ছুরি মারে। ঘটনায় স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে পাট্টুকোট্টাই সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু, সেই পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় পুলিশ খুনের মামলা দায়ের করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করে, মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন। তিনি ম൲ুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে শিক্ষিকার পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মাধন ও রমাণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুজনেই সেথুবাবাচাথিরাম ব্লকের চিন্নামানাই গ্রামের বাসিন্দা। কয়েকদিন আগেই দুজনের পরিবার বিয়ের জন্য দেখা করে। কিন্তু, যুবককে পছন্দ হয🙈়নি রমাণীর বাবা-মায়ের। তখন যুবককে শিক্ষিকা জানিয়ে দেন বাবা মায়ের অমতে গিয়ে তিনি বিয়ে করবেন♏ ন।
এরপর বুধবার মাধন স্কুল প্রাঙ্গণে এসে স্টাফ রুমের সামনে রমাণীর সঙ্গে দেখা করে। মাধন তাঁর সঙ্গে স্কুলে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করে। কিন্তু, শিক্ষিকা জানান তিনি কথা বলতে চান না। এনিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি শুরু হয়। সেই সময় যুবক ছু♎রি বের করে শিꩲক্ষিকার গলায় আঘাত করে পালিয়ে যায়।
এই মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে স্কুল শিক্ষামন্ত্রী আনবিল মহেশ পয়্যামোঝি স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেন। এছাড়াও ছাত্রদের কাউন্সেলিং করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। তার পরেই ওই স্কুল খোলা হবে বলে তিনি জানান। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এটি একটি অপূরণীয় ক্ষতি। তবে বিজেপি এনিয়ে তীব্র আক্রমণ করেছে রাজ্য সরকারকে। তারা রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে ডিএমকে সরকারকে আক্রমণ করেছে। বিজেপির 🐷নেতাদের কটাক্ষ, ডিএমকে সরকারের অধীনে আইনশৃঙ্খলা খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে। কারণ সরকারি শিক্ষক, ডাক্তার এবং অন্যান্য সরকারি কর্মীরাও তাদের কর্মক্ষে🥀ত্রেও নিরাপদ নন।