ফের ঝাড়খণ্ডে হামলা চালাল মাওবাদীরা। সোমবার রাতে রাঁচি এবং লাতেহার জেলার সীমানায় ম্যাকলাস্কিগঞ্জে রেল লাইন নির্মাণক্ষেত্রে হামলা চালায় মাওবাদীরা। সেখানে তারা রেললাইনের একাংশ উড়িয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নির্মাণ কাজের জন্য থাকা তিনটি গাড়ি এবং একটি জেনারেটরে আগু🃏ন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া শ্রমিকদের মারধর করে এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেয় বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: মাঝরাতে মাওবাদী হামলা রেলল❀াইনে, বিস্ফোরণের জেরে বাতিল একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন
সংবাদ সংস্থা পিটিআই🌺 সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যায় ১০ থেকে ১২ জনের মাওবাদীদের একটি সশস্ত্র দল নির্মাণস্থলে পৌঁছে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। তা দেখে আতঙ্কিত হয়ে শ্রমিকরা সেখান থেকে পালিয়ে যান। এর পরে মাওবাদীরা একটি ডাম্পার, একটি পোকলেইন মেশিন, একটি এসইউভি গাড়ি এবং একটি জেনারেটরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরফলে নির্মাণকাজ পরিচালনাকারী সংস্থাটি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
রেলওয়ে আধিকারিকরা জ🦂ানিয়েছেন, পাত্রাতু থেকে সোনানগরের মধ্যে তৃতীয় রেললাইন তৈরি করা হচ্ছে মূলত এনটিপিসির তান্ডোয়া, চাতরাতে অবস্𝔍থিত সুপার থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে কয়লা সরবরাহের সুবিধা বাড়ানোর জন্য। এরফলে মাল গাড়িতে সেখানে কয়লা পৌঁছানো সহজ হবে। উল্লেখ্য, সেখানে নির্মাণ কাজ করছে কেইসি ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানি।
অনুমান করা হচ্ছে, এই হামলার পিছনে মাওবাদীদের উদ্দেশ্য হল নির্মাণ কাজ করা সংস্থার কাছ থেকে তোলাবাজি করা। এর আগেও বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা। চলতি মাসের মধ্যে ঝাড়খণ্ডের রেলও✃য়ে নির্মাণ ক🍎্ষেত্রে এনিয়ে দুবার হামলা চালাল মাওবাদীরা। এর আগে ১ সেপ্টেম্বর মাওবাদীরা সিমডেগা জেলার কানারওয়া রেলওয়ে স্টেশনের কাছে রেলওয়ে নির্মাণস্থলে হামলা চালিয়ে একটি পোকলেইন মেশিনে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল।
এছাড়াও, গত ২৩ অগস্ট মাওবাদীরা পালামুতে একটি রাস্তা নির্মাণ স্থলেও হামলা করেছিল এবং ৮টি গাড়িতে আগুন দিয়েছিল। একইভাবে মে মাসে তান্ডোয়া থানা এল🌞াকায় শিবপুর-কাঠাউটিয়া রেললাইনের নির্মাণস্থলে পোকলেইন মেশিনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এই।সমস্ত ঘটনার পরেই সম্প্রতি রাঁচির রেল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড ঝাড়খণ্ড সরকারের স্বরাষ্ট্র দফতরে চিঠি দিয়ে নিরাপত্তার আর্জি জানায়। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এরফলে রেলের অনেক প্রকল্প ব্যাহত হচ্ছে।