আক্ষরিক অর্থেই চার-ছক্কার শেষ ছিল না। বল মাটিতে কম ছিল, হাওয়ায় উড়ছিল বেশি। কোনও বোলার রেহাই পাননি আরিফ সাঙ্গ🃏ারের ব্যাটিং তাণ্ডবের হাত থেকে। ইনিংসের শুরু থেকে প্রতি ওভারে ছক্কা হাঁকান পাখতুন জালমির ওপেনার। মূলত আরিফের ধ্বংসাত্মক ব্যাটিংয়ের সুবাদেই জুরিখ ক্রিকেটসের ঝুলিয়ে দেওয়া বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা অনায়াসে টপকে যায় পাখতুন।
মঙ্গলবার ইসিএস সুইজারল্যান্ডের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে জুরিখ ক্রিকেটস ও পা🐷খতুন জালমি। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে জুরিখ নির্ধারিত ১০ ওভ🍎ারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১১৯ রান তোলে। নিশ্চিত হাফ-সেঞ্চুরি হাতছাড়া করেন সাহিল তারাখিল। তিনি ২টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩০ বলে ৪৯ রান করে আউট হন।
১৯ ব♓লে ৪২ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন নূরখান আহমেদি। তিনি ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। বাক♊িরা কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। পাখতুনের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন আরিফ সাঙ্গার, সইদ রেজা ও মোয়াজ বাট। রান-আউট হন জুরিখের ৩ জন ব্যাটার।
পালটা ব্যাট করতে নেমে পাখতুন মাত্র ৭ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ১২১ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ১৮ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটে ম্যাচ জেতে তারা। আরিফ ৪টি চার ও ১১টি ছক্কা൩র সাহায্যে ২৬ বলে ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি মাত্র ১৮ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন।
সপ্তম ওভারে জাহিরের বলে চারটি ছক্কা ও ১টি চার মারেন আরিফ। ওভারের শুরুতে নো-বলে বাই হিসেবে বাড়তি ১ রান সংগ্রহ করে পাখতুন। জাহিরের প্রথম ৩টি বলে পরপর ৩টি ছক্কা মারেন আরিফ। চতুর্থ বলে চার মারেন তিনি। পঞ্চম বলে কোনও রান ওঠেনি।🉐 ওভারের শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে পাখতুনকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন আ🌌রিফ। সেই ওভারে মোট ৩০ রান ওঠে।
আরিফের ধ্বংসাত্মক হাফ-সেঞ্চুরি ছাড়া ক্যাপ্টেন ইজহার হুসেন ১৩ বলে ২০ রানের যোগদান রাখেন। তিনি ১টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৩ রানে নট-আউট থাকেন আবদুল্লা হামদর্দ। সুতরাং, পাখতুনকে কার্যত একার হাতে জয় এনে দেন আরিফ। জুরিখের হয়ে একমাত্র উইকেটটি নেন খালিদ নিয়াজি। বল হাত🦄ে একটি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ধুমধাড়াক্কা ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন আরিফ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।