মিডলসেক্সের বিরুদ্ধে এক টানটান ম্যাচে শেষ পর্যন্ত সাত উইকেটে হারতে হল সাসেক্সকে। কাজে এল না চেতেশ্বর পূজারার ১৭০ রানও। শেষ দিনে মিডলসেক্স ব্যাটারদের অনবদ্য আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জেরে প্রায় গোটা ম্যাচে দাপট দ🉐েখিয়েও সাসেক্সের হাতে হতাশাই এল।
ম্যাচের তৃতীয় দিনে খারাপ আলো ও বৃষ্টির পরেও ম্যাচ জয়ের উদ্দেশ্যে চতুর্থ দিনে লাঞ্চের ঠিক আধা ঘণ্টা আগেই টম ক্লার্ক আউট হলেই সাসেক্স নিজেদের ইনিংস ঘোষণা করে দেয়। চেতেশ্বর পূজারা ১৭০ রানেই আটকে থেকে যান। অবশ্য ক্লার্কের সঙ্গে ১৯১ রানের দুরন্ত পার্টনারশিপ গড়েন পূজারা। চার উইকেটে ৩৩৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে সাসেক্স। জয়ের জন্য মিডলসেক্সকে ৭৭ ওভারে ৩৭০ রানের বিশাল টার্গেট দেয়। এমন পরিস্থিতিতে মিডলসেক্সের জয় কার্যত অসম্ভব লাཧগলেও, সেই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখাল পিটার হ্যান্ডসকম্বের নেতৃত্বাধীন দল।
মিডলসেক্স ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মার্ক স্টোনম্যান মাত্র ১ রানে আউট হওয়ার পর, তারা যে খেলাটা খেললেন, তা কিন্তু বহুদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অধিনায়ক হ্যান্ডসকম্বের সঙ্গে মিলে স্যাম রবসন দ্বিতীয় উইকেটের জন্য ২০৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। ৭৯ রানে হ্যান্ডসকম্ব আউট হলেও রবসন গিয়ে থামেন ১৪৯ ♚রানে। ১৮১ বলের তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১৬টি চার ও একটি ছক্কায়। রবসন আউট হলে প্রথম ইনিংসে অর্ধশতরান করা মার্টিন অ্যান্ডারসনকে আটের জায়গায় একদম পাঁচে নামায় মিডলসেক্স। তিনি কিন্তু দলকে হতাশ করেননি।
ম্যাক্স হোল্ডেনের সঙ্গে মিলে ৮৩ বলে ৯৯ রানের পার্টনারশিপে দলের জয় সুনিশ্চিত করেন অ্যান্ডারসন। ৩৯ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। প্রথম ইনিংসে অর্ধশতরান করার পর এই ইনিংসেও অর্ধশতরান করেন হোল্ডেন। তিনি ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন। সাসেক্সের হয়ে ওলি রবিনসন দ্বিতীয় ইনিংসে দুই উইকেট নিলেও, তাঁকে ম্যাচ ফিট তো মনে হয়েইনি এমনকী, প্রয়োজনে একদম সাসেক্সের হয়ে উইকেট এনে দিতে পারেননি তিনি। বোলিংয়ে বিভাগে যথেষ্ট ধারের এই অভাবই সম্ভবত কাউন্টির দ্বিতীয় ডিভিশনের এই ম্যাচে সা🌠সেক্সের হারেꦍর প্রধান কারণ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।