২০০৬ সালে কেরিয়ারের প্রথম রঞ্জি ট্রফিতে অংশ নিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। কর্ণাটকের বিপক্ষে সেই ম্যাচের প্রথম দিন ৪০ রান করে অপরাজিত ছিলেন কোহলি। আর 🎶ওই দিন খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পর জীবনের সবচেয়ে খারাপ সময়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। ভোর রাতে প্রয়াত হন তাঁর বাবা প্রেম কোহলি। এত বড় আঘাতে, শোকে বিহ্বল হয়ে গিয়েছিলেন তরুণ কোহলি। কিন্তু নিজের দায়িত্ব ছিলেন অব𓆉িচল। সেই সময়েই তাঁর মনের জোর দেখে অবাক হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেট মহল।
বাবার শেষকৃত্য না করেই মাঠে পৌঁছে গিয়েছিলেন ব্যাট๊ করার জন্য। চাপের মধ্যে থাকা দলক🅷ে ৯০ রানের ইনিংস খেলে উদ্ধারও করেন। ৪ মার্চ সেই বিরাট কোহলিই দেশের জার্সিতে নিজের ১০০তম ম্যাচ খেলতে নামছেন। তার আগে কোহলির সেই সময়কার দিল্লি দলের সতীর্থ পুনিত বিস্ত ১৬ বছর আগের স্মৃতিতে ডুব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এখনও আমি ভাবি, সে দিন ও এত সাহস, মনের জোর পেয়েছিল কোথা থেকে!’ প্রসঙ্গত পুনিত এখন মেঘালয়ের হয়ে খেলেন।
কোহলির জীবনে এখনও পর্যন্ত ১৬ বছর আগের সেই দিনটা নিঃসন্দেহে ছিল সবচেয়ে কঠিন এবং যন্ত্রণার। সেই ম্যাচে কোহলি ২৩৮ বলে ৯০ রান করেছিলেন। এবং পুনিত করেছিলেন ২৮৩ বলে ১৫৬ রান। কোহলি-পুনিত জুটি একটি অসাধারণ ১৫২ রানের পার্টনারশিপ করেছিলেন। যদিও দিল্লি💎 প্রথম ইনিংসে লিড নিতে ব্যর্থ হয়েছিল। এবং ম্যাচটি শেষಞ পর্যন্ত ড্র হয়ে গিয়েছিল।
স্মৃতির সরণী বেয়ে হাঁটতে গিয়ে পুনিত বলেছেন, ‘আজও ভাবি, মাঠে নামার মতো এতটা মনের জোর, সাহস ও পেল কোথা থেকে! ওর এমন ট্র্যাজেডিতে আমরা সবাই শোকে বিহ্বল। আর ছেলেটি নিজে ড্রেসিংরুমে দাঁড়িয়ে ছিল এবং ম🐲াঠে নেমে ব্যাট করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল।’ কোহলির বয়স তখন সবে ১৭। আর পুনিতের ১৯। সেই সময়ে কোহলির মনের জোর দেখে শুধু পুনিত একা নন, পুরো দিল্লি টিম এবং বাকিরা প্রত্যেকেই হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
পুনিত আরও বলেছেন, ‘সেই সময়ে ওর বাবার শেষকৃত্যও সম্পন্ন করা হয়নি। তবু ও ব্য়াট করতে এসেছিল। কারণ ও চায়নি, ওর দল একটি ব্যাটারকে হারাক। আসলে আমরা সেই সময়ে খুব ভালো জায়গায় ছিলাম না।’ পুনিত আরও জানিয়েছেন, কোচ চেতন চৌহান এবং অধিনায়ক মিঠুন মানহাস কোহলিকে বাড়ি চলে যেতে বললেও তিনি ফিরে যাননি। ‘আমি খুব ভুল না হলে, চেতন স্যার আমাদের কোচ ছিলেন, তিনি এবং মিঠুনভাই দু'জনেই বিরাটকে বাড়িতে যেত♈ে বলেছিলেন কারণ ওঁরা নিশ্চিত ছিলেন না যে বাচ্চা ছেলেটি, 🌌চাপের মধ্যে এই মানসিক পরিস্থিতিতে কী ভাবে খেলবেন, কী ভাবে সব কিছুর সঙ্গে মোকাবিলা করবে,’ বলেন পুনিত।
পুনিত আরও জানিয়েছেন, সেই সময়ে কোহলি নিজের দুঃখ-যন্ত্রণা-শোক- সবটা বুকে চেপে রেখে নাকি বলেছিলেন, ‘লম্বা খেলনা হ্যায়। আউট নেহি হোনা হ্যায়।’ দিল্লির রঞꦑ্জি 💟দলের প্রাক্তন উইকেটকিপার এখনও ভুলতে পারেননি বিরাট কোহলির সে দিনের সেই লড়াইয়ের কথা। আবেগপ্রবণ হয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বিরাট ওই কয়েক ঘণ্টা শোককে একেবারে ভুলে গিয়েছিল। আমি দ্বিধায় ছিলাম। মনে হল, একবার ওর মাথায় হাত রেখে সান্ত্বনা দিই। আবার ভাবলাম, সেটা করতে গিয়ে যদি আমাদের ফোকাস নষ্ট হয়। অপর দিকে বিরাট বারবার বলছিল, আমাদের ধরে খেলতে হবে। আউট হলে চলবে না।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।