শক্তিশালী পশ্চিমাঞ্চলকে ১৫৭ রানে গুঁড়িয়ে দিয়ে দেওধর ট্রফির ফাইনালে উঠে গেল পূর্বাঞ্চল। মঙ্গলবার দুর্দান্ত শতরান করেন রিয়ান পরাগ। মাত্র ৬৮ বলে ১০২ রানে অপরাজিত থাকেন অসমের তারকা। শুধু তাই নয়, পরাগ যেখানে ৪৮ বলে প্রথম ৫০ রান করেন, সেখানে ৬৬ বলে শতরান পূরণ করেন। যে ইনিংসের সুবাদে দেওধর ট্রফির ইতিহাসে সর্বাধিক রান হজ⛦ম করতে হয় পঞ্চিমাঞ্চলকে। আর সেই রান তাড়া করতে নামার পর সরফরাজ খান, শিবম দুবে, রাহুল ত্রিপ🎐াঠীদের ধ্বংস করে দেন মণিশংকর মুরাসিং। পাঁচ উইকেট নেন পূর্বাঞ্চল তথা ত্রিপুরার পেসার। তিনটি উইকেট নেন উৎকর্ষ সিং। সেই জয়ের সুবাদে দক্ষিণাঞ্চলের বিরুদ্ধে ফাইনালে খেলবে পূর্বাঞ্চল।
মঙ্গলবার টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পূর্বাঞ্চলের অধিনায়ক সৌরভ তিওয়ারি। শুরুটা ভালো হয় পূর্বাঞ্চলের। প্রথম উইকেটের জুটিতে ৫৯ রান যোগ করেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ এবং উৎকর্ষ। ১১ তম ওভারের শেষ বলে আউট হয়ে যান বাংলার তারকা। ৪৩ বলে ৩৮ রান করেন। তারপর দ্বিতীয় উইকেটের জুটিতে ꧂৬৪ রান যোগ করেন বিরাট সিং এবং উৎকর্ষ। অর্ধশতরানও পূরণ করেন পূর্বাঞ্চলের ওপেনার। কিন্তু ২২ তম ওভারে উৎকর্ষ (৫০ রান) আউট হতেই পূর্বাঞ্চলের ইনিংসে ধস নামে। পরপর প্যাভিলিয়নে ফেরেন ঋষভ দাস (তিন রান), বিরাট (৪২ রান) এবং সৌরভ ♍(১৩ রান)।
তারপর অবশ্য পূর্বাঞ্চলের ধস রুখে দেন রাজস্থান রয়্যালসের তারকা রিয়ান। কুমার কুশাঙ্গার সঙ্গে জুটি বেঁধে ষষ্ঠ উইকেটে ১০৬ বলে ১৫০ রান যোগ করেন। ৪৭ বলে ৫৩ রান করেন কুমার। ৬৮ বলে ১০২ রান করেন রিয়ান। ছ'টি চার এবং পাঁচটি ছক্কা মারেন। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫০। শেষের দিকে নেমে দুই বলꦯে সাত রান করেন শাহবাজ আহমেদ। তার ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত 🦩উইকেটে ৩১৯ রান তোলে পূর্বাঞ্চল। পশ্চিমাঞ্চলের হয়ে ১০ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে তিনটি উইকেট নেন শামস মুলানি।
সেই রান তাড়া করতে নেমে একমাত্র হার্ভিক দেশাই ছাড়া পশ্চিমাঞ্চলের কেউ দাঁড়াতে পারেননি। ওপেনিংয়ে নেমে একেবারে সকলের শেষে আউট 𒆙হন। ৯২ বলে ৯২ রান করেন দেশাই। বাকিরা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হন। অতিরিক্ত রান ছাড়া মাত্র তিন ব্যাটার দুই অঙ্কের গণ্ডি পার করতে পারেন। রাহুল ত্রিপাঠী এবং শিবম দুবে কোনও রান করতে পারেনি। সরফ𓃲রাজ মাত্র তিন রান করেন। শেষপর্যন্ত ৩৪ ওভারে ১৬২ রানে অল-আউট হয়ে যায় পশ্চিমাঞ্চল। পূর্বাঞ্চলের হয়ে আগুনে বোলিং করেন মণিশংকর। সাত ওভারে ২৮ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেন ত্রিপুরার পেসার। তিনটি উইকেট নেন উৎকর্ষ (পাঁচ ওভারে ১৬ রান)। একটি করে উইকেট পান আকাশদীপ এবং শাহবাজ।
দেওধর ট্রফিতে পশ্চিমাঞ্চলের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রান
১) পূর্বাঞ্চ𒈔ল: সাত উইকেটে ৩১৯ রান, পুদু🔥চেরি, ২০২৩ সাল।
২) উত্তরাঞ্চল: ꦍ🎃ছয় উইকেটে ৩১৮ রান, আগরতলা, ১৯৯৯ সাল।
৩) দক্ষিণাঞ্চল: আট উইকেটে ৩১♔৭ রান, রাজকোট, ২০০০ সাল।
৪) দক্ষিণাঞ্চল: সাত উইকেটে ৩১💫৪ রান🥃, মুম্বই, ২০১৪ সাল।
৫) উত্তরাঞ্চল: আট উইকে🍒টে ৩১২ রান, রাজকোট, ২০০০ সাল।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।