প্রথম ইনিংসের ৩ রানের সংক্ষিপꦕ্ত লিডই উত্তরাঞ্চলকে দলীপ ট্রফির ফাইনালের টিকিট এনে দিতে পারত, যদি দক্ষিণাঞ্চলের বিরুদ্ধে তাদের সেমিফাইনাল ম্যাচ ড্র হতো। বৃষ্টিতে বারবার খেলা থমকে যাওয়ায় চিন্নাস্বামীতে ম্যাচ ড্র হওয়ার সম্ভাবনা ছিল পুর♏োদস্তুর।
জয়ের জন্য শেষ দিনের শেষ সেশনে দক্ষিণাঞ্চলের দরকার ছিল মোটে ৩২ রান। হাতে ছিল ৬টি উ💙ইকেট। পাল্লা ভারি ছিল দক্ষিণাঞ্চলেরই। তবে মেঘলা আকাশ দেখে আশায় বুক বেঁধেছিল উত্তরাঞ্চল। যদি কোনও রকমে বৃষ্টি অথবা মন্দ আলোয় খেলা বন্ধ হয়ে যায়, তবে তারা দক্ষিণাঞ্চলের মুখের গ্রাস কেড়ে ফাইনালে জায়গা করে নিতে পারত।
সেই লক্ষ্যেই এমন এক পরিকল্পনা নেয় উত্তরাঞ্চল, যা ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে নতুন নয়। বরং বহু প𒊎ুরনো ও পরীক্ষিত সেই ট্যাকটিকস কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন জয়ন্ত যাদবরা। তাঁরা অকারণে সময় নষ্ট করতে থাকেন। বিষয়টা একসময় বাড়াব✱াড়ির পর্যায়ে পৌঁছে যায়। কেননা Times Now-এর রিপোর্ট অনুযায়ী বৃষ্টির পরে শেষ সেশনের খেলা পুনরায় শুরু হলে একসময় ৫.৫ ওভার বল করতেই উত্তরাঞ্চল সময় লাগায় প্রায় ৫৩ মিনিট।
যদিও শেষমেশ জয়ন্তদের পরিকল্পনা কার্যকরী হয়নি। ইনিংসের ৩৬.১ ওভারে জয়ন্তকেই ছক্কা হাঁকিয়ে দক্ষিণাঞ্চলের ম্যাচ জয় নিশ্চিত করেন সাই কিশোর। ফলে তারা ফাইনালের টিকিট হাতে পায় এবং উত্তরাঞ্চলকে বিদায় নিতে হয় টুর্নামেন্ট থেকে। জয়ন্তরা অযথা সময় নষ্ট করছিলেন বলেই সম্ভবত জয়ের পরে উত্তেজি🥃ত ভঙ্গিতে সেলিব্রেট করতে দেখা যায় সাই কিশোরদের।
স্বাভাবিকভাবেই উত্তরাঞ্চলের এমন অনৈতিক উপায় অবলম্বনের নিন্দা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। প্রাক্তন ভারতীয় তারকা ডোডা গণেশ উত্তরাঞ্চলের এমন আচরণকে অখ𒐪েলোয়াড়ি মনোভাব আখ্যা দেন এবং ভবিষ্যতে দলগুলি যাতে এমন স্পিরিট বিরোধী কোনও কাজ না করে, সেটা নিশ্চিত করার জন্য বোর্ডের পদক্ষেপ ⛦দাবি করেন।
বিজয়ী দল দক্ষিণাঞ্চলের ক্যাপ্টেন হনুমা বিহারী অবশ্য স্পিরিটের প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনাতেই গেলেন না। বরং তাঁর দাবি, সেই মুহূর্তে তিনি যদি উত্তরাঞ্চলের ক্যাপ্টেন হতেন, তাহলে ম্য়াচ🎃 জেতার জন্য তিনিও একই কাজ করতেন। Sportstar-এর উদ্ধৃতি অনুযায়ী বিহারী ম্যাচের শেষে বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে এমন বহু ম্যাচ খেলেছি, যেখানে শেষ সেশনে দলগুলিকে ওভার-রেট স্লো করে দিতে দেখা গিয়েছে। ওদের দিক থেকে দেখলে এতে অন্যায়ের কিছু নেই। কেউ কেউ হয়ত বলতে পারেন যে, এটা ক্রিকেটের স্পিরিট বিরোধী। তবে আমি যদি উত্তরাঞ্চলের ক্যাপ্টেন হতমা, তাহলে আমিও একই কাজ করতাম।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।