১৭ বছর ধরে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের আগমনের অপেক্ষায় ছিল পাকিস্তান। অবশেষে সেই অপেক্ষা মিটলেও, হারের হতাশায় ডুবতে হল পাকিস্তান ক্রিকেটকে। ইংল্যান্ড দল পাকিস্তানে চলে 🥂গিয়েছিল এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছিল, এরফলে ভক্তদের খুশি হওয়ার সুযোগ দিয়েছিল মইন আলিরা। তবে সেই খুশির পথে তারা স্বাগতিকদের হারিয়ে বড় ধাক্কা দিয়েছে। সাতꦉ ম্যাচ সিরিজের শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ড পাকিস্তানকে ৬৭ রানে হারিয়ে ম্যাচের সঙ্গে ট্রফিও জিতেছে। ইংল্যান্ডের ট্রফি দখল করার ফলে পাকিস্তানের ভক্তরা জয়ের আনন্দ থেকে বঞ্চিত থাকে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সকলের চোখ ছিল এই ঐতিহাসিক সিরিজের দিকে। করাচিতে চারটি ম্যাচ এবং লাহোরে প্রথম দুটি ম্যাচ পর্যন্ত সিরিজটি খুඣবই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ছিল এবং স্কোরটি ৩-৩ সমতায় ছিল। শেষ ম্যাচটি অবশ্য অ্যান্টি-ক্লাইম্যাক্স হিসেবে প্রমাণিত হয়েছিল।যেখানে শুধু একতরফা প্রতিদ্বন্দ্বিতাই ছিল না,অনেক ম্যাচের মতোই আবারও পাকিস্তানি ব্যাটিং ও ফিল্ডিং-এর খোল নোলচে সকলের সামনে চলে এসেছে।
আরও পড়ুন… সূর্য-কোহꦉলি-রাহুলের সৌজন্যে চতুর্থ সর্বোচ🌜্চ রানের ইনিংস ভারতের
রবিবার ২ অক্টোবর লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ইংল্যানౠ্ড সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে এবং দলের প্রত্যেক ব্যাটসম্যান ছোট বা বড় কিন্তু দ্রুত গতির ইনিংস খেলে। বিশেষ করে প্রাক্তন বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান ডেভিড মালান ৪৭ বলে ৭৮ অপরাজিত রানের ইনিংস খেলেন। এবং তরুণ ব্যাটসম্যান হ্যারি ব্রুক ২৯ বলে ৪৬ র👍ানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তাঁরা পাকিস্তানি বোলারদের আক্রমণ করে ৬১ বলে ১০৮ রানের অপরাজিত জুটি গড়েন।
একইসঙ্গে,গত বেশ কয়েকটি ম্💜যাচে পাকিস্তানি দল টপ অর্ডারে অধিনায়ক বাবর ও মহম্মদ রিজওয়ানের ইনিংসের ভিত্তিতেই স্কোর বা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করছিল। দলের মিডল অর্ডার হয় কম ডেলিভারি পেয়েছে বা ভালো সুযোগ পেলে ফ্লপ হয়েছে। এবার বাবর-রিজওয়ান কেউই বড় ইনিংস খেললেন না এবং বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানের দুর্বল মিডল অর্ডারের আরেকটি নজির দেখা গেল।
আরও পড়ুন… টি-♔২০তে ১ম ভারতীয় ব্যাটার হিসেবে ১১০০০ রান ꧑করার নজির বিরাট কোহলির
ইনিংসের শুরুতে ১২ রানের মধ্যেই প্যাভিলিয়নে ফিরেছিলেন বাবর (৪) ও রিজওয়ান (১)। এমন অবস্থায়ꦰ মিডল অর্ডারের ভালো পারফরম্যান্স দেখানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু শান মাসুদের ৪৩ বলে ৫৬ রান ছাড়া আর কেউই স্বাচ্ছন্দ্যে বা স্বাধীনভাবে খেলতে পারেননি। খুশদিল শাহ ও ইফতেখার আহমেদ অবশ্যই থেকে গেলেও প্রতিবারের মতো দ্রুত রান তুলতে পারেননি। বাকি ব্যাটসম্যানরাও দশ রানও করতে পারেননি।এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করে তিন উইকেটের বিনিময়ে ইংল্যান্ড তোলে ২০৯ রান। জবাবে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান করেছিল ১৪২ রান। ফলে সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচে ৬৭ রানে পরাজিত হয় বাবর আজমরা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।