প্রিমিয়র লিগ ইতিহাসের সর্বকালের সর্বসেরা স্ট্রাইকার কে বা সর্বসেরা বিদেশী ফুটবলারই বা কে? কিছু বছর আগেও জবাবটা অবিলম্বে হত থিয়রি অঁরি। তবে এখন সেই জায়গায় তাঁর আর একচ্ছত্র অধিকার নেই। অঁরির রাজত্বে থাবা বসিয়েছেন পাঁচ ফুট দশꦦ ইঞ্চির এক আর্জেন্তিনীয়। তিনি আর কেউ নেন সার্জিও কুন আগুয়েরো।
মতান্তরে পৃথিবীর কঠিনতম লিগে এক দশক, শতাধিক গোল ও অসংখ্য স্মৃতি তৈরি করে প্রিয় ম🗹্যাঞ্চেস্টার সিটিকে বিদায় জানাচ্ছেন তাঁদের দশ নম্বর জার্সিধারী আর্জেন্তিনীয়। ইতিহাস বারবার নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটায়। রবিবার (২৩ মে) আবারও এক দশক আগের চিত্রই দেখা গেল সিটির এতিহাদ স্টেডিয়ামে। এক দশক আগে সোয়ানসি সিটির বিরুদ্ধে নিজের অভিষেক ম্যাচে ৬০ মিনিটের মাꩲথায় নেমে জোড়া গোল করেছিলেন আগুয়েরো। এ দিনও পরিবর্তিত হিসাবে ৬৩ মিনিটে নেমে জোড়া গোল করলেন কুন। পাশাপাশি ভেঙে দিলেন প্রিমিয়র লিগে এক দলের হয়ে রুনির করা সর্বাধিক ১৮৩ গোলের রেকর্ডও।
নিজের প্রথম মর🎃শুমেই সিটি সমর্থকদের পরের দশকে কী ঘটতে চলেছে তা ভালভাবে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন আগুয়েরো। ২০১১-১২ মরশুমে ৯৩. ৪২ মিনিটে গোল করে কয়েক দশক পর সিটিকে লিগ খেতাব এনে দেন। মিডলসব্যরার বিরুদ্ধে তাঁর সেই গোল করে জার্সি উন্মোচন প্রিমিয়র লিগের গ্যালারিতে চিরকালের মতো জায়গা করে নিয়েছে। মরশুমের পর মরশুম কেটেছে, বদলেছে ম্যানেজার, বদলেছে খেলার ধরনও। বদলাননি শুধু তিনি আর তাঁর মুখের শিশুসুলভ হাসি।
সেই অল্পবয়সী তরুণ তাই দল ছাড়ছেন পাঁচটি লিগ সহ মোট ১৫টি🦂 মুখ্য ট্রফি, ১৮৪ টি লিগ গোল ও ক্লাবের ইতিহাসের সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা (মোট ২৬০ টি গোল) হয়ে। সিটিজেনদের ইউরোপের অন্যতম সেরা হয়ে ওঠার উত্থানের মূল কান্ডারি তাই তিনিই। তবে এখনও এক ম্যাচ বাকি আছে আগুয়েরোর, সিটির ইতিহাসের হয়তো সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে শেষ একবার মাঠে নামতে পারেন কুন। কে বলতে পারে ওইদিনও আবার কোন রূপকথা তৈরি হবে না।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।