দলবদলের মরশুমে শুরু থেকেই আলোচনায় ছিলেন হ্যারি কেন। টটেনহ্যামের এই তারকা যে বায়ার্ন মিউনিখে যাচ্ছেন তা অনেকই আন্দাজ করতে পেরেছিল। কারণ বায়ার্নের নামটা বারবার ভেসে উঠছিল। মরশুম শেষ হওয়ার আগেই দলবদলের বাজারে আলোচনায় ছিলেন হ্যা♏রি কেন। তার টটেনহ্যাম ছাড়তে চাওয়ার বিষয়টি ছিল ওপেন সিক্রেট। রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, বায়ার্ন মিউনিখ ও পিএসজি তাঁকে দলে নিতে আগ্রহ দেখিয়ে ছিল।
এবার সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বায়ার্ন মিউনিখেই যোগ দিলেন হ্যারি কেন। জার্মান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে ২০২৭ সাল পর্যন্ত খেলবেন ইংলিশ এই স্ট্রাইকার। দলবদল বিষয়ক ইতালিয়ান সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর পাশাপাশি কেনের একটি বার্তা প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়াতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। এছাড়াও হ্যারি কেনও ভক্তদ🌺ের উদ্দেশ্যে একটি বার্তা দিয়েছেন এবং বায়ার্নে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বায়ার্নের সঙ্গে কেনের চুক্তির বিষয়টা আগে থেকেই অনেকটা নিশ্চিত ছিল। কিন্তু শুক্রবার (১১ অগস্ট) হুট করেই বিশেষ কারণে ইংলিশ স্ট্রাইকারের জার্ম🐻ানি যাত্রা রুখে দেয় তার প্রাক্তন ক্লাব টটেনহ্যাম হটস্পার। বেশ কিছুক্ষণ বিমানবন্দরে অপেক্ষা করার পর অবশ্য অনুমতি মিলেছে ইংলিশ স্ট্রাইকারের। শেষ পর্যন্ত ১২ অগস্ট এই রহস্য় থেকে পর্দা ওঠে। মিউনিখে কেনের জন্য সবকিছু প্রস্তুত-ই ছিল। সেখানে পোঁছেই মেডিকেল টেস্ট সেরে নিয়েছেন তিনি। একই দিনে সেরে ফেলেছেন চুক্তির বিষয়টাও। খুব শীঘ্রই ব🍃ায়ার্নের সঙ্গে কেনের চুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ১০০ মিলিয়ন ইউরো তথা ভারতীয় মূল্যে যা প্রায় ৯১০ কোটি টাকারও বেশি অর্থে বায়ার্নে য𒁏াচ্ছেন কেন। এছাড়া রিলিজ ক্লজ হিসেবেও পাচ্ছেন প্রায় ১০০ কোটির ইউরো। কেনকে দলে নিতে যে চলতি মরশুমেই বায়ার্নꦜ আগ্রহ দেখিয়েছে তেমনটা নয়। গত মরশুমেও কেনকে কিনতে চেষ্টা করেছিল জার্মানের ক্লাবটি। তবে টটেনহ্যাম কোনও ভাবেই কেনকে বিক্রি করতে রাজি ছিল না। তবে চলতি দলবদলে বায়ার্নের বিশাল প্রস্তাবে আর ‘না’ করতে পারেনি ইংলিশ ক্লাবটি। কেনকে বায়ার্ন চুক্তি করালে ক্লাবটির সর্বোচ্চ মূল্যের খেলোয়াড় হবেন ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
২০১০-১১ মরশুম থেকে ২০২৩ সালের অগস্ট ♊পর্যন্ত কেন এখনও আছেন টটেনহ্যামে। মাঝে দুয়েকটা ক্লাবে লোনে খেলতে গেলেও টটেনহ্যামই তাঁর আসল ঘর। ২০১৩-১৪ মরশুম থেকে লিগে প্রতিবারই ২০টির বেশি গোল করছেন তিনি। ক্ল🥀াব ও জাতীয় দল; সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৮৪ ম্যাচে ৩৫৪ গোল করেছেন কেন। যার মধ্যে জাতীয় দলে ৮৪ ম্যাচের জার্সিতে নেমে তাঁর গোল ৫৮টি গোল রয়েছে।
হ্যারি কেইনের সামনে প্রথম ট্রফি জেতার সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল ২০১৪-১৫ মরশুমে। সেবার কারাবো কাপের ফাইনালে উঠেছিল স্পার্সরা। কিন্তু চেলসির কাছে ২-০ গোলে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয় হ্যারি কেনদের। টটেনহ্যাম কারাবো কাপের ফাইনালে উঠেছিল ২০২০-২১ মরশুমেও, সেবার তারা হারে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির কাছে। ২০১৮-১৯ মরশুমে স্বপ্নের এক যাত্রা শেষে ফাইনালে লিভারপুলের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগের স্বাদ পায়নি হ্যারি কেনের টটেনহ্যাম। বারবার দলীয় ব্যর♛্থতার পর ভাগ্য বদল করতে কেনও এখন ক্লাব ছাড়লেন। এরপরে ভক্তদের উদ্দেশ্যে দিলেন বিশেষ 🌞বার্তা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।