জাতীয় গেমসে সোনা জিতে বাংলাকে গর্বিত করেছে বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের টিম। তবে এই সাফল্যের পরেও তাদের প্রাপ্তি, আমেদাবাদ থেকে দু’রাতের উপꦑরে ট্রেন যাত্রা করে তাদের ফিরতে হয় কলকাতায়। ঘাম ঝড়িয়ে সাফল্য এনে দেওয়ার পরেও, বিমানে ফেরানোর কোনও তাগিদই দেখাননি বাংলার ফুটবলের কর্🔴তারা।
আনন্দবাজারকে এক ফুটবলার বলেছেন, ‘হ্যাঁ, আমরা ট্রেনেই ফিরছি। বুধবার ট্রেনে উঠেছি। শুক্রবার দুপুরে কলকাতায় পৌঁছব।’ এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ‘আܫমরা অনুরোধ করেছিলাম ফ্লাইটের টিকিট দেওয়ার জন্য। যাতে তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসতে পারি। তা ছাড়া দু’রাত যাত্রার ধকলটাও তা হলে এড়ানো যেত। তবে আমাদের বলা হয়েছে, ফ্লাইটের টিকিটের যে খরচটা হত, সেটা রেখে দেওয়া হল। আমাদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে।’
আরও 𝕴পড়ুন: সব বাঙালি ফ🐓ুটবলার নিয়ে ট্রফি জিতেছি- জাতীয় গেমসে সাফল্যের পর হুঙ্কার বিশ্বজিতের
এই সাফল্যের পরেও এ ভাবে ট্রেনে ফেরাটা নিঃসন্দেহে হতাশার। বিশেষ করে ন’দিনে পাঁচটি ম্যাচ খেলার ক্লান্তির পর তো বটেই। নাম প্রকাশে অনিচ𓆉্ছুক সেই ফুটবলারের দাবি, ‘হতাশ লাগলেও তো কিছু করার নেই। আমাদের হাতে তো কিছু নেই। বাড়ি থেকে, পরিবার থেকে অনেকে ফোন করছে। ಌজিজ্ঞেস করছে, তোরা ফ্লাইটে ফিরছিস না? কী বলব, লজ্জা লাগলেও বলতে হচ্ছে, না, ফিরছি না। আমরা ট্রেনে ফিরছি।’
আরও পড়ুন: গোয়াতেই বসতে চলেছে ২০২৩ 🥃সালের ৩৭তম জাতীয় গেমসের আসর
যাঁদের জন্য বাংলার গর্ব, যাবতীয় সাফল্য, সেই ফুটবলারদের ট্রেনে করে ফেরানোর আগে একবারও ভাবেননি আইএফএ কর্তারা। এ দিকে নিজেরা কিন্তু সাফল্যের ভাগ নিতে উড়ে গিয়েছিলেন গুজরাটে। গৌরবের মূহূর্তের ভাগীদার হয়েছেন, ছবি তোলার জন্য পোজ দিয়েছেন, কৃতিত্বের অংশীদ𒁏ার হয়েছেন। তবে সব শেষে তাঁরা প্রত্যেকে ফিরে এসেছেন ফ্লাইট ধরেই। কিন্তু যাঁরা বাজিমাত করলেন, তাঁরা দু’রাতের উপরে যাত্রা করে ফিরলেন শহরে।
শুধু তাই নয়, কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যও ফিরে এসেছেন বিমান ধরে। যত অবহেলা সাফল্য এনে দেওয়া ফুটবলারদের জন্যই। চ্যাম্পিয়ন না হলে যে আরও কত দুর্ভোগ কপালে লেখা ছ🌱িল বাংলার ফুটবলারদের, তা কে জানে!
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।