গ্রুপ ‘বি’-তে শেষ ম্যাচ ডের আগꦐেই লিভারপুলের শীর্ষস্থান নিশ্চিত হলেও দ্ব🦄িতীয় স্থানের জন্য এসি মিলান, পোর্তো এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, তিন দলই লড়াইয়ে ছিল। ৯০ মিনিটের ব্যবধানে তিন দলের ভাগ্য পেন্ডুলামের মতো একাধিকবার এদিক ওদিক হলেও শেষমেশ পরবর্তী রাউন্ডের টিকিট পাকা করল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদই।
পরের রাউন্ডে যেতে পোর্তোয় জিততেই হতো অ্যাটলেটিকোকে। স্বভাবচিত অ্যাটলেটিকো ভঙ্গিমায়ই ৩-১ পোর্তোকে হারাল স্প্যানিশ জায়ান্টরা। দিয়েগো সিমিওনের দল বরꦓাবরই ‘ডার্টি গেম’ খেলতে পিছুপা হয়না। পর্তুগালের মাঠেও ৯০ মিনিটে দুই দলের ম্যাচ মাঝেমাঝে ফুটবলের বদলে লড়াইয়ের আখড়ায় পরিণত হয়, যেখানে তিনটি লাল কার্ড দেখানো হয়। ৫৬ মিনিটে অ্যাটলেটিকোর ফরাসি তারকা আন্তোয়া গ্রিজম্যান দলকে এগিয়ে দেন। তবে ৬৭ মিনিটে ইয়ানিক কারাস্কো রীতিমতো কুস্তির এক মুভে ওটাভিওকে মাঠে ফেলে দেওয়ার পর ল🐻াল কার্ড দেখেন।
তার তিন মিনিট পরেই ম্যাথিয়াস কুনিয়াকে কনুই দিয়ে গুঁতো মারার পর পোর্তোর ওয়েন্ডেলও লাল কার্ড দেখেন। এখানেই শেষ নয় ৭৫ মিনিটে অগাস্টিন মার্চেসিন লাল কার্ড দেখায় নয় জনে নেমে যেতে হয় পোর্তোকে। বাড়তি খেলোয়াড় নিয়ে খেলার সুযোগ নিতে বদ্ধপরিকর অ্য🉐াটলেটিকো বেশ খানিক চেষ্টার পরে একেবারে শেষ মুহূর্তে সাফল্য। ৯০ মিনিটে প্রথমে অ্যাঞ্জেল কোরেয়া এবং ইনজুরি টাইমে রড্রিগো ডি পল গোল করে অ্যাটলেটির পরের রাউন্ডে কোয়ালিফাই করা নিশ্চিত করেন। ইনজুরি টাইমের ষষ্ঠ মিনিটে সার্জিও অলিভিয়েরা পেনাল্টি, পোর্তোর কাছে সান্ত্বনা পুরস্কার ছাড়া আর কিছুই ছিল না।
অপরদিকে, অ্যাটলেটিকোর মতো এসিℱ মিলানেরও পরের রাউন্ডে পৌঁছতে নিজেদের দিক থেকে জয় ছাড়া অন্য কোনো উপায় ছিল না। ২৮ মিনিটে ফিকায়ো টমোরি মিলানকে এগিয়ে দেওয়ায় গোটা সান সিরোতে খুশির বন্যা বয়ে যায়। তবে সপ্তাহান্তে প্রিমিয়র লিগ দল থেকে প্রথম একাদশে মোট আটটি বদল ঘটালেও লিভারপুল দলে সাদিও মানে এবং মহম্মদ সালাহ ছিলেন। ৩৬ মিনিটে সালাহই লিভারপুলেকে সমতায় ফেরান। উলভসের বিরুদ্ধে শেষ মুহূর্তে গোল করে দলকে জয় এনে দিয়েছিলেন ডিভক ওরিগি। দলের প্রয়োজনে আবারও তিনি এগিয়ে আসেন। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৫ মিনিটে করা তাঁর গোলেই ম্যাচ জিতে নেয় লিভারপুল।
এই জয়ের ফলে প্রথম ইংলিশ দ⛎ল এবং চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে মাত্র সপ্তম দল হিসেবে নিজেদের গ্রুপ পর্যায়ের সবক'টি ম্য়াচ জেতে রেডসরা। এ মরশুমে ষষ্ঠ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ম্যাচে সপ্তম গোল করে সালাহ, যা লিভারপুল খেলোয়াড় হিসেবে রেকর্ড। লিভারপুলের পর সাত পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকে অ্যাটলেটিকো। পোর্তো পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে ইউরোপা লিগে নিজেদের জায়গা পাকা করে। দুর্ভাগ্যবশত, ম্যাচ হেরে মিলান ইউরোপ থেকেই ছিঁটকে গেল। তাদের দখলে ছিল চ🦂ার পয়েন্ট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।