২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি। ইস্টবেঙ্গল শেষ বার ডার্বি জিতেছিল। এর পর ফের শনিবার কলকাতার যুবভারতীতে ডার্বি জয়ের স্বাদ পেল লাল-হলুদ। আর এই জয়ের যিনি নায়ক, তিনি আর কেউ নন, ২৭ বছরের নন্দকুমার। তাঁর একমাত্র গোলেই শুধু মরশুমের প্রথম ডার্বি জয় নয়, গত সাড়ে চার বছরের যন্ত্রণা থেকেও মুক্তি পেল লাল-হলুদ। বাগানের টানা ডার্বি জয়ের পথে ফুলস্টপ লাগালেন নন্দকুমারই।🔴 বিশ্বকাপার জেসন কামিন্স-সহ পূর্ণ💯শক্তির দল নামিয়েও জয় পেল না। টানা ৮টি ডার্বি জয়ের পর নয় নম্বর ডার্বিতে আটকে গেল মোহনবাগান।
কাটল সাড়ে চার বছরের খরা, ডুরান্ড ডার্বি জিতল লাল-হলুদ
বিশ্বকাপার নেমেও কিছু করতে পারলেন না। জেসন কামিন্স জেতাতে পারলেন না মোহনবাগানক𒉰ে। বরং ভারতীয় তারকা নন্দকুমারের একক দক্ষতার দুরন্ত গোলে খরা কাটাল ইস্টবেঙ্গল। প্রায় সাড়ে চার বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ১-০ মোহনবাগানকে হারা♒ল ইস্টবেঙ্গল। কার্লেস কুয়াদ্রাতের স্ট্র্যাটেজির সামনে পিছিয়ে পড়লেন ফেরান্দো। মরশুমের প্রথম ডার্বি লাল-হলুদের।
৬ মিনিট ইনজুরি টাইম
ছয় মিনিট ইনজুরি টাইম দিয়েছে।🧸 বাগান কিন্তু বেশ কিছুটা সময় পেয়েছে গোলশোধের। এর মধ্যে আবার মুষল ধারে বৃষ্টিও শুরু হয়ে গিয়েছে যুবভারতীতে। এই বৃষ্টিতে পারবে বাগানꦺ সমতা ফেরাতে?
লাল-হলুদের ডিফেন্সে ছ'জন খেলছে
৮৯ মিনিট- ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণে এই মুহূর্তে ছ'জন রয়েছে। বোঝাই য෴াচ্ছে, গোল 𝔍রক্ষা করতে তারা কতটা মরিয়া। আর কিছুক্ষণ মোহনবাগানকে আটকে রাখতে পারলেই, চার বছরেরও বেশি সময়ের যন্ত্রণার থেকে মুক্তি মিলবে লাল-হলুদের।
সমতা ফেরাতে পারবে বাগান?
সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে মোহনবাগান। ৮৫ মিনিট পার হয়ে গিয়েছে।🌊 ইস্টবেঙ্গল কি পারবে আজ ডার্বি জয়ের প্রায় সাড়ে চার ꦇবছরের খরা কাটাতে?
মোহনবাগানের সুযোগ
৮১ মিনিট- বক🍒্সের মধ্যেই ভালো একটি বল পেয়ে গিয়েছিলেন কামিন্স। ভালো সুযোগ ছিল গোলের। কিন্তু কামিন্সের শটে জোর একটু বেশি ছিল। ক্রস বারের উপর দিয়ে বের হয়ে যায় বল।
স্ট্রেচারে করে মাঠে ছাড়লেন সিভেরিও
৭৫ ♎মিনিট- চোট পেয়ে সিভেরিও স্ট্রেচারে করে মাঠের বাইরে যান। তবে স্বস্তি বড় কিছু হয়নি। কিছুক্ষণ পরেই তিনি মাঠে ফিরে আসেন।
কামিন্সের চেষ্টা
৬৯ মিনিট- ইস্টবেঙ্গল বক্সে বল পেয়ে কামিন্স একটি জোরালো চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বলটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বাইরে বের হয়ে যায়।&n⛄bsp;
গোওওওওওললললললল… ১-০ এগিয়ে গেল লাল-হলুদ
৬০ মিনিট- প্রতি আক্রমণে উঠে দুরন্ত গোল করে লাল-হলুদের নন্দকুমার। ডান ফ্ল্যাঙ্ক বরাবর নন্দকুমার দৌড় শুরু করেন। অনিরুদ্ধ থাপা তাঁকে আটকাতে এলে তাঁকে ডজ দিয়ে বাঁ-পায়ে বাঁকানো শট নেন নন্দ। সেকেন্ড পোস্টে রাখেন বল। বিশাল কাইথের কিছুই করার ছিল না। একক দক্♑ষতার অসাধারণ গোল নন্দকুমারের।
মাঠে নামলেন অজি বিশ্বকাপার
৫৭ মিনিট- সাদিকু এবং হুগো বৌমাসের পরিবর্꧋তে জেসন কামিন♚্স ও দিমিত্রি পেত্রাতোসকে নামালেন ফেরান্ডো। সবুজ-মেরুন জার্সিতে ডার্বি ম্যাচে অভিষেক হল অজি বিশ্বকাপার কামিন্সের।
শৌভিকের হলুদকার্ড
৫১ মিনি🐷ট- মনবীরকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখলেন শৌভিক চক্রবর্তী।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
প্রথমার্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেন🥃ি কোনও দলই। ডার্বির প্রথমার্ধে এই মরশুমে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো খেলাটা খেলেছে ইস্টবেঙ্গল। যাইহোক দ্বিতীয়ার্ধে কোন দল গোলের মুখ খুলতে পার⛄ে, সেটাই দেখার!
ডার্বি দেখে উচ্ছ্বসিত ভিকি কৌশল
ডুরান্ড 🧸ডার্বি দেখতে মাঠে হাজির হয়েছেন ভিকি কৌশল। তিনি বলছেন, ‘আমি খুব ভাগ্যবান। এর আগে কোনও ফুটবল ম্যাচ লাইভ দেখিনি। হয়তো আমার ভাগ্যে এই ম্যাচটাই দেখা লেখা ছিল। নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে হচ্ছে এরকম একটা ম্যাচে উপস্থিত থাকতে পেরেছি। মহাকাব্যিক এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখার সুযোগ পেলাম।’
বিরতিতে ফল ০-০
ডার্ব𝓰ির প্রথমার্ধে খেলার ফল গোলশূন্যই থাকল। দুই দলই গোলের কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। দেখার শেষ হাসি হাসে কোন দল!
ভালো সেভ লাল-হলুদ কিপারের
৪৫+২- লিস্টনকে ফাউল করেন খাবরা। খাবরা নিজে হলুদকার্ড দেখেন, আর ফ্রি-কিক পায় মোহনবাগান। বৌমাস ফ্রি-কিক নেন। দুরন্ত শট ছিল। বল প্রভসুখনꦗ সরাসরি ধরে ফেলেন।
লাল-হলুদের সুযোগ
৩৭ মিনিট- বোরহা মাঝমাঠ থেকে বল পাঠান মোহনবাগান বক্সের ভিতর নওরেম মহেশকে। তবে আশিস রাই এবং কাইথ সেই প্রচেষ্টাকে দমন করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। শেষ ൩পর্ꦇযন্ত বাগানের বিপদ আপাতত এড়ানো গেছে। এখনও কোন দলই গোলের মুখ খুলতে পারেনি।
কুলিং ব্রেক
উভয় পক্ষই একাধিক বার গোলের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। এবং প্রথমার্ধের শুরুতেই সাদিকু মোহনবাগানের হয়ে গোল করার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। ১৮তম মিনিটে আবার সিভেরিও ইস্টব꧅েঙ্গলের হয়ে প্রায় গোল করে ফেলে🐻ছিলেন।
আক্রমণে লাল-হলুদ
২৩ মিনিট- বাঁ দিক থেকে মহেশ পাস বাড়িয়েলেন সিভেরিওকে🤡। চেষ্টা করেও গোল হল না। প্রতিরোধ হয়ে গেল সিভেরিও-র চেষ্টা।
গোলের সুযোগ নষ্ট মোহনবাগানের
২১ মিন🔯িট- মোহনবাগান প্রতি আক্রমণে উঠে একটি দুরন্ত সুযোগ তৈরি করে ফেলেছিল। লিস্টন কোলাসো বল বাড়ায় সাদিকুকে। সাদিকু আবার পাস বাড়ান বৌমাসকে। ২০ গজ বাইরে থেকে বৌমাস জোরালো শট মারেন। তবে তিনি বল গোলে রাখতে পারেননি।
সহজ গোলের সুযোগ হারাল ইস্টবেঙ্গল
১৮ মিনিট- নওরেম মহেশ প্রতিপক্ষের বক্সে💙 বাগান ডিফেন্ডারকে ডজ দিয়ে সিভেরিও-কে ক্রস বাড়ান। সেই বল ধরে সিভেরিও গোলের চেষ্টাও করেন। কিন্তু ব🌼্রেন্ডন সেই বল বিপদ মুক্ত করেন। ভালো গোলের সুযোগ নষ্ট হয় লাল-হলুদের।
লাল-হলুদের সুযোগ
১৫ মিনিট- অনিরুদ্ধে থাপা ফাউল করলে ইস্টবেঙ্গল ফ্রি-কিক পায়। এবারও এলসে সেট-পিস থেকে বল পেয়ে গোলের চেষ্টা করেন। কিন্তু তাঁর হেডার বাঁচান ব🔴িশাল⛄ কাইথ। ম্যাচটিতে এখনও পর্যন্ত খুব ভালো দুই পক্ষই লড়াই করছে।
গোল লক্ষ্য করে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম শট
১১ মিনিট- খাবরা একটি লম্বা কিকের মাধ্যমে বক্সের মধ্যে বꩲল পাঠান। এলসে সেই বল হেডে জালে জড়াতে গেলে বিশাল কাইথ সেই বল সহজেই ধরে ফেলেন।
বাগানের সুযোগ
২মিনিট- অনিরুদ্ধ 🦹থাপা বল নিয়ে এগানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আটকে যান তিনি। তবে বল শেষ পর্যন্ত আর্মান্দো সাদিকুর কাছে যায়, যিনি বক্সের বাইরে থেকে শট নেওয়ার চেষ্টা করলেও, জালে জড়াতে পারে🅘ননি। সাইড নেটে গিয়ে লাগে বল।
খেলা শুরু
দুই দলের খেলা শুরু। আজ জিত🍷বে কারা- ইস্টবেঙ্গল নাকি মোহনবাগান?
দুই দলের প্লেয়ারদের সঙ্গে পরিচিত হলেন ভিকি কৌশল
ডার্বি দেখতে মাঠে থাকার কথা ছিল ভিকি কৌশলের। ম্যাচের আগে দুই দলের প্লেয়ারদের সঙ্গে পরিচিত হলেন তিনি। হাত মিলিয়🌳ে শুভেচ্ছা জানালেন দুই দলেꦿর প্লেয়ারদের।
দুই দলের একাদশ
ইস্টবেঙ্গলের প্রথম একাদশ- প্রভসুখন গিল, হরমনজ্যোত খাবরা, লালচুননুঙ্গা, জর্ডান এলসে, মন্দার রাও দেশাই, শৌভিক চক্রবর্তী, সাউল ক্রেসপো, বোরহা, নওরেম মহেশ, নন্দকুমার, জেভিয়ার সিভেরিও।সাবস্টিটিউট- কমলজিৎ, রাকিপ, অতুল, গুরসিমরত, এডউইন, মোবাসির, তুহিন, গুরনাজ, ভানলালপেকা গুইতে, ভিপি সুহের। মোহনবাগানের প্রথম একাদশ- বিশাল কাইথ, আশিস রাই, আনোয়ার আলি, ব্রেন্ডন হ্যামিল, শুভাশিস বসু, অনিরুদ্ধ থাপা, গ্লেন মার্টিন্স, মনবীর সিং, হুগো বৌমাস, লিস্টন কোলাসো, আর্মান্দো সাদিকু।সাবস্টিটিউট- জাহিদ, জেসন কামিন্স, দিমিত্রি পেত্রাতোস, সাহাল আব্দুল সামাদ, আশিক কুরুনিয়ান, সুহেল ভাট, রবি রানা, রাজ ꧋বাসফোর, অভিষেক, কিয়ান নাসিরি।
দুই কোচের বক্তব্য
ফেরান্দো- ‘ইস্টবেঙ্গল ভালো ফুটবলার সই করিয়েছে। মন্দারকে গোয়ায় দেখেছি। গত বার মুম্বইয়ে খেলেছে। ইস্টবেঙ্গলের দল বেশ ভালো। এই মুহূর্তে ওদের ছোট করে দেখার দরকার নেই। ওরা দেরিতে শুরু করেছে। তাই সময় লাগবে। পরে কী হয় দেখা যাক। তবে ডার্বি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। দুই দলই জিততে চায়। আমরাও ডার্বি জিতেই পরের রাউন্ডে যেতে চাই।’ কুয়াদ্রাত- ‘যে কোনও মরশুম শুরু হওয়🌞ার আগে ফিটনেস সমস্যা থাকবেই। দলের অনেকেই দেরি করে এসেছে। আগের ম্যাচে আমরা অনেক ভুল করেছি। অনেক সময় ক্লান্তির কারণেও ভুল হয়। তবু গত সপ্তাহে অনেক ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। এক মাস ধরে অনুশীলন করছে এরকম ছ'-সাত জন রয়েছে আমাদের দলে। এটুকু জানি, আমাদের ৯০ মিনিট মাঠে নেমে লড়তে হবে। সেটার জন্যে আমরা তৈরি। আমরা সবাই মোটামুটি ডার্বি🅘র ব্যাপারে জানি। এই ম্যাচের প্রায় ১০০ বছরের ইতিহাস রয়েছে। গোটা শহরের কাছে এটা একটা উৎসবের মতো। দুর্ভাগ্যবশত আমার হাতে পুরো দল নেই।’
ডার্বির সামগ্রিক পরিসংখ্যান
বিভি🎃ন্ন টুর্নামেন্ট এবং প্রদর্শনী ম্যাচ মিলিয়ে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের মধ্যে দ্বৈরথ হয়েছে ৩৮৫টি। তার মধ্যে ১৩৪টিতে জিতেছে ইস্টবেঙ্গল, ১২৬টিতে জিতেছে মোহনবাগান (এটিকে মোহনবাগান-সহ), ড্র হয়েছে ১২৫টি ম্যাচ।
ডুরান্ডে ডার্বির পরিসংখ্যান
ডুরান্ড কাপের দ্বৈরথে আবার সামগ্রিক ভাবে এগ🙈িয়ে লাল-হলুদ। ২০টি ম্যাচের মধ্যে ৮টিতে ইস্টবেঙ্গল জিতেছে। সামান্য পিছিয়ে মোহনবাগান। তারা ৭টি ম্যাচ𓄧 জিতেছে। পাঁচটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
ফুরফুরে বাগান, চাপে বেঙ্গল শিবির
ডার্বি ঘিরে টানটান উত্তেজনা-উন্মাদনা থাকবে, এটাই তো স্বাভাবিꦍক। তবে ইদানীং যেন ডার্বিটা বড় একপেশে হয়ে গিয়েছে। টানা মোহনবাগানর ডার্বি জেতায় যেন উচ্ছ্বাসের জোয়ারে কোথাও ভাটার টান। আসলে ডুরান্ডেও যদি সবুজ-মেরুনই জয় পায়, তবে টানা ৯টি ডার্বিতে জিতবে বাগান। সেক্ষেত্রে ইস্টবেঙ্গলের আকাশ ছেয়ে যাবে আরও ঘন কালো মেঘে। সম্মান পুনরুদ্ধারের জন্য তাই মরিয়া লাল-হলুদ শিবির।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।