গ্রুপ ‘এফ’-এ𒀰র শেষ রাউন্ডের ২ ম্যাচেই ছিল টানটান উত্তেজনা ছিল। ক্রোয়েশিয়া-বেলজিয়াম ম্যাচটি খুব দ্রুত গতিতে হয়েছে। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণের লড়াই দেখা গিয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোনও দল✅ই গোলমুখ খুলতে পারেনি। যার জেরে ম্যাচটি ড্র হয়। নিটফল ছিটকে গেল বিশ্বের দুই নম্বর দল বেলজিয়াম। গ্রুপের দুইয়ে থেকে নকআউটে গেল ক্রোয়েশিয়া
এ দিকে মরক্কো ১৯৮৬ সালের পর ফের নকআউট পর্বে উঠল। এ দিন কানাডাকে তারা ২-১ হারিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বেলজিয়াম, ক্রোয়েশিয়াকে টপকে গ্রুপ টপার হয়ে🌃 প্রি-কোয়ার্টারে গেল। নিঃসন্দেহে মরক্কোর ফুটবল ইতিহাসে এই দিনটা স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়ে থা𝓡কল।
ক্রোয়েশিয়া বনাম বেলজিয়াম
হ্যাটট্রিক পেতে পারতেন। কিন্তু দলকে ড💃োবালেন লুকাকু। গোলের সামনে দাঁড়িয়ে যে সব সুযোগ মিস করলেন, দেখলে আতঙ্কিত হতে হয়। পাড়া ফুটবলাররাও বোধহয় এমন সুযোগ হাতছাড়া করেন না। বিশ্বমানের একজন স্ট্রাইকার, তাও আবার বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে- এমন সহজতম সুযোগ নষ্ট করার পর বোধহয়, বেলজিয়াম ফুটবপ্রেমীদের কাছে তিনি ভিলেন হয়েই থ🎃াকবেন।
আর লুকাকুর এমন জঘন্য মিসের খেসারত বেলজিয়াম দিল বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়ে। বৃহস্পতিবার ক♔্রোয়েশিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে তারা। স্বাভাবিক ভাবেই পয়💯েন্টের বিচারে পিছিয়ে পড়ে বেলজিয়াম। দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ ষোলোয় চলে যায় ক্রোয়েশিয়া।
আরও পড়ুন: গোল বাতিল হওয়ায় ক্ষুব্ধ ফ্রান্স, তিউনিশিয়ার কাছে লজ্জার হারের পর 🦩নালিশ ফিফায়
দুই দলের কাছেই ডু অর ডাই ম্যাচ ছিল। বিশেষ করে বেলজিয়ামের কাছে। ড্র করলে শেষ ষোলোর ছাড়পত্র পেয়ে যেত ক্রোয়েশিয়ার। তবে না জিতলে চলত না বেলজিয়ামের। শুরুটা অবশ্য দুরন্ত করেছিল ক্রোয়েশিয়াই। একের পর এক আক্রমণের ঝড়। কিন্তু কুর্তোয়ার দুরন্ত সব সেভ, সেই সঙ্গে ক্রোয়েশিযার সহজ সুযোগ নষ্ট- সব মিলিয়ে গোটা ম্যাচে গোলের মুখ খুলত পারেনি ক্রোয়েশিয়া। ১৫ মিনিটে সমস্যায় পড়ে যায় রাশিয়া বিশ্বকাপের তৃতীয় স্থানাধিকারি দল। ক্রামারিচকে ফাউল করেন ক্যারাস্কো। রেফারি ক্রোয়েশিয়াকে পেনাল্টি দেয়। কিন্তু ভার প্রযুক্তির সাহায্যে অফসাইডের জন্য পেনাল্টি বাতিল হয়ে🀅 যায়। কিছুটা হাফ ছেড়ে বাঁচে বেলজিয়ানরা।
দ্বিতীয়ার্ধেও ক্রোয়েশিয়ারই দাপট ছিল। তবে বিরতির পর থেকে ম্যাচ যত গড়াতে থাকে বেলজিয়াম আক্রমণের ঝাঁজ বাড়াতে থাকে। শেষদিকে গোলের একাধিক সুযোগ পায় তারা। কিন্তু ম্যাচের শেষ পাঁচ মিনিটে দুটো সিটার নষ্ট করেন লুকাকু। গোলকিপারের একহাত দূরে দাঁড়ꦺিয়েও যে সব সুযোগ নষ্ট করলেন, না দেখলে বিশ্বাস করা যাবে না। 🐲যার খেসারত দিতে হল বিশ্বের দুই নম্বর দলকে। এ দিনের ম্যাচের পর বোঝা গেল, আস্তাচলে সোনালি প্রজন্মের ইতিহাস।
মরক্কো বনাম কানাডা
১৯৮৬ সালে প্রথম এবং শেষ বার বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে গিয়েছিল মরক্কো। ফের ৩৬ বছর পর আরও এক বার কাতারে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় জায়গা করে নিল আফ্রিকার দেশ। তাও আবার ক্রোয়েশিয়া, বেলজিয়ামের মতো দেশকে টপকে গ্রুপ শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ডে গেল তারা। নিঃসন্দেহে বড় প্রাপ্তি মরক🦂্কোর কাছে। এ এক ইতিহাস। যার সাক্ষী থাকল গোটা বিশ্বের ফুটবল প্রেমীরা।
আরও পড়ুন: নকআউটে কাদের মুখোমুখি হবেন মেসিরা?ফ্রান্সে🙈র প্রতিপক্🙈ষ কে?দেখুন সূচি
এ বারের বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বে বেলজিয়ামকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিল মরক্কো। তার পর ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে ডর করে তারা। নকআউটে যেতে হলে শ📖েষ ম্যাচে কানাডাকে হারাতে হত তাদের। সেটাই করল মরক্কো।
কানাডা এ বারের বিশ্বকাপে দ্রুত গতিতে ফুটবল খেলেছে। কিন্তু দলের বেশির ভাগ ফুটবলার তরুণ হওয়ায় সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হচ্ছিল। মরক্কোর বিরুদ্ধেও সেটাই দেখা গেল। তবে ম্যাচের শুরুতেই আক্রমণের ঝড় তোলে মরক্কো। এমন কী হাকিম জিয়েচের গোলে তারা এগিয়ে যায়। এর পর ২৩ মিনিটে ব্যবধান বাড়ায় মরক্কো। এ বার গোল করেন ইউসুফ এননেসিরি। ৪০ মিনিটের মাথায় কানাডার ফুটবলারের শট মরক্কোর ডিফেন্ডার আগুয়েরোর ꦐপায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায়। বিশ্বকাপে এটিই প্রথম আত্মঘাতী গোল। তবেꦑ দ্বিতীয়ার্ধে মরক্কো লিড বাঁচাতেই ব্যস্ত ছিল। যাইহোক শেষ পর্যন্ত ২-১ লিড ধরে রাখে মরক্কো।
গ্রুপের সমীকরণ
তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ এফ-এর শীর্ষে উঠে এসেছে মরক্কো। তারা গ্রুপ টপার হয়ে প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে গেল। ৩ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থেকে নকআউটের টিকিট পেল ক্রোয়েশিয়া। তি♋ন ম্যাচে ৪ পয়েন্ট বেলজিয়ামের। তারা ছিটকে গেল। কানাডা একটি ম্যাচও জেতেনি। তাদের পয়েন্ট শূন্য।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।